বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জার্মানিতে বোনকে খুন করল দুই আফগান ভাই

  •    
  • ১ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:৩৯

২০১৩ সালে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে আফগানিস্তান থেকে জার্মানিতে পা রেখেছিলেন মরিয়ম। ২০১৭ সালে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে তার। এই বিচ্ছেদ ও তার পশ্চিমাদের মতো চলাফেরা মেনে নিতে পারেননি সহোদর দুই ভাই।

জার্মানিতে বোনকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে দুই আফগান ভাইয়ের বিরুদ্ধে। পাশ্চাত্য ধাঁচে বোনের চলাফেরা পছন্দ ছিল না বলেই তারা ওই খুনটি করেন।

ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, অভিযুক্ত দুই আফগান ভাই সাইয়েদ ও সিয়াদের বয়স যথাক্রমে ২৬ ও ২২ বছর। গত ২৩ জুলাই তারা তাদের ৩৪ বছর বয়সী বড় বোন মরিয়মকে বার্লিনের একটি স্থানে দেখা করার জন্য অনুরোধ করেন।

দেখা করতে গেলে মরিয়মকে তারা শ্বাসরোধ করে ও গলা কেটে হত্যা করেন। পরে মরিয়মের মরদেহটি তারা কেটে টুকরো টুকরো করেন।

জার্মান বিচারকরা জানিয়েছেন, দুই সন্তানের জননী মরিয়মকে কেটে কয়েক টুকরো করার পর একটি ব্যাগের ভেতর ঢুকান তার ভাইয়েরা। পরে একটি ট্যাক্সিতে করে রেল স্টেশনে নিয়ে যান।

সিসিটিভি ফুটেজেও বার্লিনের সুদক্রুজ স্টেশনে সাইয়েদ ও সিয়াদকে কালো রঙের একটি বড় ব্যাগ ধরাধরি করে ট্রেনে তুলতে দেখা গেছে। ওই ব্যাগটি তারা প্রিমার্ক নামে একটি রিটেইল শপ থেকে ৬০ ইউরো দিয়ে কিনেছিলেন।

ব্যাগটি নিয়ে প্রথমে জার্মানির বাভারিয়া প্রদেশে যান সাইয়েদ ও সিয়াদ। পরে তারা ওই প্রদেশের হলজকির্চেন এলাকার কাছাকাছি একটি ঘন জঙ্গলে গাড়ি চালিয়ে ব্যাগটিকে নিয়ে যান। ওই জঙ্গলেরই একটি গর্ত থেকে মাটি খুঁড়ে মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, মাথা ও ঘাড়ে মারাত্মক আঘাতের ফলেই মরিয়মের মৃত্যু ঘটেছে।

বিচারকরা দাবি করেছেন, পশ্চিমাদের মতো চলাফেরা করার শাস্তি দিতেই বড় বোনকে খুন করেছেন দুই আফগান ভাই। কারণ নারীদের সম্পর্কে তাদের যে প্রাচীণ ধ্যান ধারণা, তার সঙ্গে বোনের চলাফেরায় অনেক পার্থক্য ছিল। তারা এটাকে পরিবারের সম্মান হানীর বিষয় মনে করেছিল।

১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল মরিয়মের। কিন্তু তিনি তার অত্যাচারী স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তার ১০ বছরের এক কন্যা ও ১৩ বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।

স্বামীর সঙ্গে বোনের বিচ্ছেদ ও নতুন সম্পর্কের বিষয়টিকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি সাইয়েদ ও সিয়াদ। তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন মরিয়ম। এটি জানার পর থেকে মরিয়মকে হিজাব ব্যবহারের জন্য তারা চাপ দিতে থাকেন।

তারা যে ব্যাগটি বহন করছিল তার মধ্যে কী ছিল- তা নিয়ে দুই ভাই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। সিয়াদ বলেছেন, ব্যাগের ভেতরে বক্সিং গ্লাভস আর ডাম্বেল ছিল। অন্যদিকে সাইয়েদ দাবি করেছেন, ব্যাগে কাপড়-চোপড় ও ভারি ধরনের কিছু বস্তু ছিল। তবে, তদন্তকারীরা নিশ্চিত ওই ব্যাগে করে তারা তাদের বোনের মরদেহই বহন করছিলেন।

জার্মানিতে মরিয়মের ঘনিষ্টজনরা দাবি করেছেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে তিনি মৃত্যু আতঙ্কে ছিলেন। ভাইয়েরা চাইতো তার সঙ্গে যেন অন্য কারো কোনো যোগাযোগ না থাকে।

গত ৩ আগস্ট থেকে কয়েদখানায় আছেন সাইয়েদ ও সিয়াদ। অভিযোগ প্রমাণীত হলে তাদের যাজ্জীবন হতে পারে।

এ বিভাগের আরো খবর