নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি করে কোনো লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান।
রাজধানীর এফডিসির একটি মিলনায়তনে শনিবার ‘সুশাসন নিশ্চিতকরণে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা’ শিরোনামে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি মন্তব্য করেন।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ ও অর্থ সচিব আকবর আলি খান বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে, তা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়েই নির্ধারণ হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য সার্চ কমিটি করে কোনো লাভ হবে না।
‘সরকারের পছন্দের তালিকাভুক্ত লোক দিয়েই কমিশন গঠন করা হবে। বর্তমান কে এম নূরুল হুদা কমিশন আইনের সঠিক প্রয়োগ করে নাগরিক অধিকার সুরক্ষা ও ভালো নির্বাচন করতে পারত, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে স্থানীয় সরকার নেই। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণেই স্থানীয় সরকার চলছে। স্থানীয় সরকারের আর্থিক ক্ষমতা নেই। জনপ্রতিনিধি ও কর্মচারীদের বেতন কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ থেকে আসে। বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় সরকার এতিম নয়, বরং তা এত বেশি ক্ষমতাশালী, যা পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই।
‘সংসদ সদস্যরা স্থানীয় সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার নিয়ম শুধু বাংলাদেশেই আছে। স্থানীয় সরকারের অনিয়ম ও অভিযোগের তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। অথচ এ ধরনের তদন্তের জন্য স্বাধীন কমিশন থাকা উচিত। অতীতে একটি কমিশন থাকলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন করতে হলে বর্তমান আইন পরিবর্তন করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘সুশাসন নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা জোরদার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
‘বিদায়ী নুরুল হুদা কমিশন তাদের সময়কালে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারেনি। তাই আগামী নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতিকে সব রাজনৈতিক দলের মত গ্রহণের লক্ষ্যে আরও বেশি বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।’
প্রতিযোগিতায় সরকারি তিতুমীর কলেজকে পরাজিত করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের তার্কিকরা জয়ী হন।