বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় চার মামলায় আসামি ১৮০০

  •    
  • ১ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:২৩

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়েছে। হামলাকারীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’

সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ তিনটি মামলা করেছে। এ ঘটনায় আরেকটি মামলা করেছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা।

চার মামলায় আট শতাধিক জনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়েছে।

‘হামলাকারীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’

সংঘর্ষের ঘটনায় আরেকটি মামলার বাদী হলেন স্থানীয় উজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশের ডাক দেয় জেলা বিএনপি। সমাবেশ ঘিরে কলেজ রোড এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

‘সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষের ইট-পাটকেলের আঘাতে আমার এলাকা এসবি ফজলুল হক রোডের অনেক সাধারণ মানুষ ও পথচারী আহত হন।

‘এ সময় কয়েকজন যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়। তাই হামলাকারী ও অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য আমি এলাকাবাসী হিসেবে মামলা করেছি।’

সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে এখনও কোনো মামলা হয়নি।

নিউজবাংলাকে সিরাজগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দানিউল হক মোল্লা বলেন, ‘বিএনপি সমাবেশে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে আমাদের ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তারা আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র ব্যব্যহার করেছে। আমরা চাই পুলিশ দ্রুত অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার করবে।

‘আমরা এখনও মামলা করিনি। কারণ আমাদের অনেক ছেলে আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের অবস্থা একটু ভালো হলে নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে মামলা করা হবে।’

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘সেদিন আমাদের পূর্বঘোষিত জনসভায় যখন নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে, তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পথের মোড়ে মোড়ে বাধা দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। হামলা চালিয়ে আমাদের ৫০-৬০ জনকে আহত করে।

‘সেদিন আওয়ামী লীগ ব্রিজের পশ্চিমে আর আমরা ব্রিজের পূর্ব পাশে অবস্থান নিয়েছিলাম। অস্ত্রটি পশ্চিম পাড় থেকে উঁচিয়ে গুলি করছে। এই অস্ত্রধারীকে অনেক মিডিয়ায় দেখা গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ ভিডিও সংগ্রহ করে কেন ওই অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করছে না, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা চাই, আমাদের ওপর যারা হামলা করেছে পুলিশ দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করবে। আমরা এখনও মামলা করিনি। তবে দু-এক দিনের মধ্যে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে মামলা করা হবে।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে সংঘর্ষের সময় একজনকে প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করতে দেখা গেছে। ঘটনার এক দিন পর মামলা হলেও অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ বিষয়ে ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সেদিনের সেই অস্ত্রধারীকে আমরাও খুঁজছি। আশা করি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারব।’

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় শহরের পরিস্থিতি এখনও থমথমে। বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর