বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবারের বর্ষ পণ্য আইসিটি সেবা

  •    
  • ১ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:২৫

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সময় কিন্তু এখন আমাদের, সময় বাংলাদেশের এবং সেই সুযোগটা আমাদের নিতে হবে। প্রতি বছর একটা পণ্যকে বর্ষ পণ্য বা প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করে থাকি। এবার আমি ২০২২ সালের জন্য আইসিটি পণ্য সেবাকে জাতীয়ভাবে বর্ষ পণ্য হিসেবে ঘোষণা করছি।’

প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় বর্ষ পণ্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ২০২২ সালের বর্ষ পণ্য করা হয়েছে আইসিটি সেবাকে।

শনিবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে এ ঘোষণা দেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘সময় কিন্তু এখন আমাদের, সময় বাংলাদেশের এবং সেই সুযোগটা আমাদের নিতে হবে। প্রতি বছর একটা পণ্যকে বর্ষ পণ্য বা প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করে থাকি। এবার আমি ২০২২ সালের জন্য আইসিটি পণ্য সেবাকে জাতীয়ভাবে বর্ষ পণ্য হিসেবে ঘোষণা করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা কথা বলে, বাণিজ্য হলো লক্ষ্মী। একটা দেশ উন্নত হতে পারে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়ে। আমরা এটার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি এবং সে হিসেবে ব্যাপক পদক্ষেপও নিচ্ছি। আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য বহুমুখী করা একান্তভাবে অপরিহার্য।

‘আর বর্তমান বিশ্বে করোনার পর আমাদের যে অভিজ্ঞতা, সেটা অনুসারে এটুকু অনুরোধ করব, এখন কিন্তু খাদ্য পণ্যের চাহিদাটা বিভিন্ন দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা কিন্তু কখনই কমবে না। আমার নিজের দেশেও বাজার তৈরি হচ্ছে। কাজেই কৃষিপণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত করুন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খাদ্যপণ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। এ ছাড়া, আমাদের যে পণ্য রয়েছে তার মান উন্নত করা এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা, শুধু চাহিদা না পণ্যের গুণগত মান সেদিকেও আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।’

বাণিজ্য মেলা মাধ্যমে রপ্তানির বৃদ্ধির সম্ভাবনা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা চাই, অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্ব, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি বাণিজ্যিক সেতু বন্ধন তৈরিতে বাণিজ্য মেলা কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি মনে করি।

‘আমাদের নতুন নতুন রাপ্তানির জন্য দেশে এবং সে দেশের চাহিদা জানতে হবে। আমাদের চামড়া-চামড়াজাত পণ্য, পাট-পাটজাত পণ্য, খাদ্য প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে কৃষিজাত পণ্য আছে যেগুলোর উৎপাদন আমরা বাড়াতে পারি এবং রপ্তানিও করতে পারি, দেশের চাহিদাও পূরণ করতে পারি।’

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সামনে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করা, আমরা কিন্তু সেদিকেও পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা যেন কোনোভাবেই পিছিয়ে না থাকি সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

‘করোনার মধ্যেও আমাদের অর্থনীতি স্থবির হয়নি। যেভাবেই হোক আমরা চালু রাখতে সক্ষম হয়েছি। পৃথিবীর বহু দেশ অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কিছুটা ধাক্কা আমাদের লেগেছে। কারণ আমরা প্রবৃদ্ধি ৮ ভাগে তুলতে পেরেছিলাম যদিও সেটা কমে গিয়েছিল। ইনশাল্লাহ আমরা সেটা থেকেও অতিক্রম করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।’

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আওয়ামী লীগের ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময়েই আমরা সর্বোচ্চ ৯ ভাগ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হই, কিন্তু সেটা আর থাকেনি। অবৈধভাবে মিলিটারি ডিক্টেটররা ক্ষমতা দখল করার কারণে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা যেমন সৃষ্টি হয়, অগ্রযাত্রাও ব্যহত হয়, ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।’

তিনি বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি সৃষ্টি করি। ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রটা উন্মুক্ত করে দেই। এদেশে অনেক কিছুই কিন্তু উন্মুক্ত ছিল না, যেমন বেসরকারি টেলিভিশন-রেডিও আমরা উন্মুক্ত করে দিই। ব্যাংক বিমা ব্যাপকভাবে বেসরকারি খাতে যাতে হতে পারে সেটা উন্মুক্ত করে দিই।

‘হেলিকপ্টার-বিমান বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিই। প্রতিটি খাতগুলোকেই আমি বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিই। এমনকি চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে…যাতে হাসপাতাল হতে পারে। এজন্য যেসব পণ্য প্রয়োজন সেগুলো শুল্ক মুক্ত করে আমদানি ব্যবস্থা আমরা করে দেই।’

রপ্তানির পাশাপাশি নিজস্ব বাজার সৃষ্টির তাগিদও আসে সরকারপ্রধানের কাজ থেকে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি, আমাদের দেশটা যেন শিল্পে-বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে পারে। উৎপাদন-রপ্তানি যাতে বাড়াতে পারে সেদিকে যেমন দৃষ্টি আমরা দিয়েছি, পাশাপাশি আরেকটি দিকে আমরা লক্ষ্য দিই। সেটা হচ্ছে আমদের নিজস্ব বাজার যাতে সৃষ্টি করতে পারি।

‘নিজের দেশের দেশের মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করা, তাদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। কারণ আমি যতই রপ্তানির কথা বলি, আমার দেশে শিল্পয়ানের ব্যাপক প্রসার ঘটবে তখনই যখন আমাদের নিজস্ব বাজার সৃষ্টি হবে। বেসরকারি খাতে উদ্যোক্তা সৃষ্টির ব্যাপক সুযোগ আওয়ামী লীগ সরকার তৈরি করে দেয়।’

তিনি বলেন, ‘করোনার জন্য ব্যবসা বাণিজ্যে অনেক বাধা এসেছে। এটা যাতে আমাদের সকলেই অতিক্রম করতে পারে, আমরা কিন্তু ব্যাপক প্রণোদনা দিয়েছি, সুবিধা দিয়েছি। এমনকি ব্যাংকের সুদের ক্ষেত্রেও ৫০ ভাগ হয়তো আপনাদের দিতে হবে আর ৫০ ভাগ সরকার থেকে ভর্তুকি দিচ্ছে।

‘এভাবেই আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যটা যাতে সচল থাকে তার ব্যাপক পদক্ষেপ আমাদের সরকার নিয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর