নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রতি বছরের মত এবারও বৌদ্ধধর্মীয় তীর্থস্থান রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালনের আয়োজন করা হয়ছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ৮৪ হাজার মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্যে দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবেন পুণ্যার্থীরা।
প্রজ্ঞা সাধনা প্রকাশনীর পরিচলনা কমিটি ও রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটি সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে।
এ উপলক্ষে নানা রঙে সেজেছে বৌদ্ধ বিহার। বৌদ্ধ পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। শনিবার সকালে থেকে দূর-দূরান্ত থেকে বিহারে আসতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। অনেকে ভগবান বুদ্ধের সমীপে প্রার্থনা জানিয়েছেন, কেউ আবার মঙ্গল প্রার্থনায় প্রদীপ প্রজ্বালন করছেন।
বিকেলে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন ছাড়াও পঞ্চশীল প্রার্থনা, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধপূজা, বুদ্ধমূর্তি দান, পিন্ডদান, মঙ্গলসূত্র পাঠ ও ধর্মীয় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতি বছর মঙ্গল প্রার্থনায় আয়োজন করা হয় ৮৪ হাজার মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালনের। তবে বিহার পরিচালনা কমিটি জানিয়েছে, ৮৪ হাজার মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন মানে এই নয় যে, শুধু ৮৪ হাজার মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন করা হবে। ৮৪ হাজার মঙ্গল প্রদীপ নির্দিষ্টতা রেখে প্রায় এক কোটির বেশি প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।
নিউজবাংলাকে পুণ্যার্থীর জল্পনা চাকমা বলেন, ‘অতীতের সমস্ত গ্লানি মুছে যাক, ভবিষ্যতের দিন হোক আনন্দের ও অর্জনের, এ ব্রত নিয়ে ৮৪ হাজার মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন করতে যাব।’
কেয়া চাকমা বলেন, ‘ইংরেজি নতুন বছর উদযাপনে কাপড় ও বাঁশের কাটি দিয়ে বাতি (প্রদীপ) বানিয়েছি। বিকেলে এ বাতি নিয়ে জ্বালাব।’
আরেক পুণ্যার্থী জীবন চাকাম বলেন, ‘নতুন বছর উপলক্ষে সকালে বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়েছিলাম। বিশ্বে সকল প্রাণীর মঙ্গল প্রার্থনা করেছি।’
প্রজ্ঞা সাধনা প্রকাশনী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নব কুমার তঞ্চঙ্গ্যা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এবার এ আয়োজন করা হয়েছে। মূলত নতুন বছরকে স্বাগত জানানো এবং বিশ্বে সকল প্রাণীর প্রার্থনায় এ আয়োজনটা হয়ে থাক।’