বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্থায়ী ঠিকানায় পর্দা উঠল বাণিজ্য মেলার

  •    
  • ১ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৪২

প্রথমবারের মতো স্থায়ী অবকাঠামোয় পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর এই মেলা হচ্ছিল শেরেবাংলা নগরে।

করোনা মহামারির কারণে এক বছর বন্ধ থাকার পর শুরু হলো এ বছরের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মেলার নতুন প্রাঙ্গণ আগের ঠিকানা শেরেবাংলা নগর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার।

পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে প্রথমবারের মতো স্থায়ী ঠিকানায় শুরু হওয়া মেলা শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজকের মেলার জায়গাটি নিয়ে ব্যবসায়ীদের একটি কথা বলতে চাই। এই যে জায়গাটা আমরা করে দিলাম। স্থায়ী ব্যবস্থাই এর ছিল লক্ষ্য।

‘আপনারা (ব্যবসায়ী) চিন্তা করেন কত টাকা সাশ্রয় করেছেন। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দিয়েছি। প্রথম অনুষ্ঠান, কিছু সমস্যা হতে পারে। কাঠামো তো তৈরি করে দিয়েছি, এখন কোনো সমস্যা হলে সেটা আপনারাই ঠিক করে নেন। কিছু খরচা করেন।’

করোনা-পরবর্তী বিশ্বে খাদ্য সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে ব্যবসায়ীদের খাদ্যপণ্য উৎপাদনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘খাদ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ছে। খাদ্য উৎপাদনে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।’

এ সময় সরকারপ্রধান বলেন, ‘দেশের বাণিজ্যিক পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে বাণিজ্যিক কূটনীতির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।’

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: টিভি ফুটেজ

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বলছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে মেলায় কমানো হয়েছে স্টলের সংখ্যা। এ ছাড়া বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কম। ২০২০ সালে ৪৮৩টি ছোট-বড় স্টল ও প্যাভিলিয়ন ছিল। সে সংখ্যা কমিয়ে এবার করা হয়েছে ২২৫টি। এর মধ্যে বিদেশি স্টল ছয়টি ও চারটি মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।

২০২০ সালে ২১টি দেশের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছিল। এবার করোনার কারণে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম। এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ইরান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তানের স্টল থাকবে।

বঙ্গবন্ধু-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের মোট ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার বর্গমিটার। এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে ও সামনের ফাঁকা জায়গা মিলিয়ে স্টল থাকবে। এতে দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

শেরেবাংলা নগরের মতো এখানেও প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, জেনারেল স্টল, ফুডকোড, মিনি স্টল, প্রিমিয়ার স্টল ক্যাটাগরি রয়েছে। মিলনায়তনের ভেতরে নিজস্ব একটি ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। সেখানে একসঙ্গে ৫০০ লোক বসে খাবার খেতে পারবেন।

কর্ম দিবসগুলোতে মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে ছুটির দিনে মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবার প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।

এবারই প্রথমবারের মতো মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য থাকছে ৩০টি বিআরটিসি বাস। কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মাসব্যাপী সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যাতায়াত করবে বাসগুলো। এসব বাসে ন্যূনতম ২৫ টাকা ভাড়ায় দর্শনার্থীরা যাতায়াত করতে পারবেন।

বাণিজ্য মেলার গেটের প্রতি সবার নজর থাকে। এবার গেটের থিমে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে মেগাপ্রকল্পগুলোকে। মেলার প্রধান গেটে চারটি প্রবেশপথ রাখা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বা বঙ্গবন্ধু টানেল বা কর্ণফুলী টানেলের মতো গোল করা হয়েছে প্রবেশপথ। ওপরে সেতুবন্ধ হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে পদ্মা সেতুর প্রতীকী কাঠামো। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং মেট্রোরেলের প্রতীকী কাঠামোও থাকছে।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। তখন থেকেই দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্র্যান্ডকে পরিচিতি করার মাধ্যম হিসেবে নিচ্ছেন বাণিজ্য মেলাকে। ক্রেতাদের মধ্যেও মেলায় যাওয়ার জন্য ব্যাপক উৎসাহ থাকে।

১৯৯৫ সাল থেকে শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এই কারণে স্থানটি মেলামাঠ নামেও পরিচিতি পেয়েছে।

সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শেরেবাংলা নগরে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বসেছিল। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে পূর্বাচলে মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হলেও করোনার কারণে তা আর মাঠে গড়ায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর