কড়া নিরাপত্তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হয়েছে।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রাত ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। ঘড়ির কাটা বারোর ঘরে আসা মাত্রই হর্ষধ্বনি দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান তারা।
এরপর শিক্ষার্থীরা আতশবাজি এবং ফানুস উড়ান। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীর পরিবারের সদস্যরাও উদযাপনে যোগ দেন।
বর্ষবরণের উদযাপনে সপরিবারে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি কুশল বিনিময় করেন।
বিজয় একাত্তর হলের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, ‘২০২১ সালে আমরা আমাদের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি। আমরা চাই নতুন বছরটা সবার সুন্দর কাটুক। আমরা আর কাউকে হারাতে চাই না। সবাইকে নিয়েই আমরা সুন্দর একটি বছর কাটাতে চাই।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জিয়া রহমান বলেন, ‘নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা, করোনার ঢেউ যেন আর না বাড়ে। করোনার মতো ওমিক্রনের থাবা যেন ভয়াল না হয়। ক্যাম্পাস আবার বন্ধ হোক, সেটি আমরা চাই না।’
শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছনার অভিযোগ
নতুন বছরের শেষ রাত উদযাপন উপলক্ষে রাত আটটা থেকে ক্যাম্পাসের প্রবেশমুখগুলোতে বসানো হয় নিরাপত্তা ব্যারিকেড। বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউটের সদস্যরা পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়া কাউকেই ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
তবে বিষয়টি নিয়ে আইডি কার্ড না থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে এক শিক্ষার্থীকে পুলিশের এক কনস্টেবল শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম শেখ ইবনে সাবিত। তিনি সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী।
এ ঘটনার পর সূর্যসেন হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। তিনি সেই কনস্টেবলের পক্ষ হয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চান এবং সেই কনেস্টেবলকে বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সেই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।’