বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উদযাপনের নামে বিব্রত করলে ব্যবস্থা: র‌্যাব

  •    
  • ১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:৪৬

র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আমরা আশা করব কেউ উচ্চস্বরে হর্ন বাজিয়ে নাগরিকদের বিরক্ত ও বিব্রত করার চেষ্টা করবেন না। যদি কেউ করতে চান, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমাদের টিম প্রস্তুত রয়েছে।’

থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নামে নাগরিকদের বিরক্ত ও বিব্রত করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে গুলশান-২ নম্বর চত্বরে থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে র‌্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ কথা জানান।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আমরা আশা করব কেউ উচ্চস্বরে হর্ন বাজিয়ে নাগরিকদের বিরক্ত ও বিব্রত করার চেষ্টা করবেন না। যদি কেউ করতে চান, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমাদের টিম প্রস্তুত রয়েছে।

‘এ ছাড়া অনেককে দেখা যায় দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে মানুষকে বিরক্ত করেন। তাদের বিরুদ্ধেও আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কেউ যেন নারীদের ইভটিজিং করতে না পারে সেজন্য আমাদের সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া আছে।’

তিনি বলেন, ‘অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কাজ করছি। র‌্যাবের গোয়েন্দা ও আভিযানিক দল প্রস্তুত রয়েছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের সদস্যদের পোশাকে এবং সাদা পোশাকে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে।

‘এ ছাড়া আমাদের সাইবার মনিটরিং টিম সাইবার ওয়ার্ল্ডে তাদের নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং কূটনৈতিক এলাকায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা চেক পোস্ট বসিয়েছি। চেকপোষ্টে প্রয়োজন মনে হলে তল্লাশি করা হচ্ছে।’

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ভিআইপি ও ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার এবং কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের টহল টিমসহ গোয়েন্দা দল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যেন কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

‘আমরা বনানী গুলশান ও বারিধারা এলাকার সম্মানিত নাগরিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুশৃংখল রাখতে তাদের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা আশা করব, নতুন বছর উদযাপনের যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সবাই সেই সব নির্দেশনা মেনে উদযাপন করবেন। কোনো ধরনের উশৃংখলা বা মাদকাসক্ত হয়ে কোনো ধরনের উশৃংখলতা করলে তা প্রতিরোধ করতে সচেষ্ট রয়েছি।

র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জঙ্গি হামলার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো ধরনের নেতিবাচক তথ্য নেই। তারপরও যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। কোনো বিশৃঙ্খল পরিবেশ দেখা দিলে আমাদেরকে জানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।’

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু কোনো অনুষ্ঠান করতে বাধা দেইনি। অনুষ্ঠান হবে তবে সুশৃংখলভাবে। এর আগেও থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে অনেক ঘটনা ঘটেছে যেটি আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় । আনন্দ উচ্ছাস করতে সরকার বা আমরা কখনোই বাধা দিই না। আমরা সবাই উচ্ছ্বাস করব কিন্তু আরেক জনকে বিরক্ত বা বিব্রত করে নয়। সবকিছুর মধ্যে বুঝতে হবে আমার যে সীমাটা আমি কতটুক পর্যন্ত যেতে পারি। ’

নতুন বছরে র‌্যাবের প্রত্যাশা নিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন বছরে আমরা প্রত্যাশা করছি আমরা যেভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধরে রেখেছি, এভাবে ধরে রাখব। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন, সেই নীতি বাস্তবায়নে র‌্যাবের প্রতিটি সদস্য কাজ করে যাবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

এ বিভাগের আরো খবর