নতুন বছর মানেই প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছর নিয়ে যায় অমিত সম্ভাবনার পথে।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দকে বরণ করে নিতে গোটা বিশ্ব জুড়ে চলছে নানা বর্ণাঢ্য আয়োজন। খ্রিষ্টীয় নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ, যদিও করোনা মহামারি সেই আয়োজনকে কিছুটা ফিকে করে দিয়েছে।
বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকলেও ব্যবহারিক জীবনে খ্রিষ্টীয় পঞ্জিকার বিকল্প নেই। জাতীয় জীবনে, প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে এই ক্যালেন্ডার।
ওমিক্রন প্রভাব ফেলতে পারে অর্থনীতিতে
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রভাবে দেশের রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদ মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নতুন বছরে অনেক অনিশ্চয়তা আছে। ওমিক্রনের প্রভাবে দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি যেসব দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রবাসী কর্মীরা যেসব দেশে থাকে সেসব দেশের অবস্থা কেমন হবে সেটা বড় বিষয়। রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সামনের দিনে ওমিক্রনের প্রভাবে ইউরোপ ও আমেরিকায় তৈরি পোশাকের চাহিদা কেমন দাঁড়াবে সেটা অনিশ্চিত। এ জন্য রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।’
নতুন বছরে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরাটাও সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে মনে করেন তিনি। মির্জ্জা আজিজ বলেন, ‘এখনই মূল্যস্ফীতি প্রায় ৬ শতাংশের কাছাকাছি। এটা নিয়ন্ত্রণ না করলে জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব পড়বে।’
নতুন করে দারিদ্র্য বেড়েছে জানিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকারের গুরুত্ব আরও বাড়াতে হবে।’
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে প্রণোদনার টাকা সঠিকভাবে বিতরণের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা ঠিকমতো টাকা পায় না। তাদের ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানে যেন কিছু মানুষ কাজ করতে পারে, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।’
রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির চাকা থামবে না
দেশ করোনামুক্ত হবে, মানুষের জীবন রক্ষা পাবে, এটাকেই আগামীর প্রত্যাশা মানছেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ।
তিনি বলেন, ‘মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারলে ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছু বেগবান হবে। করোনা মহামারি রয়ে গেলেও, আমি বিশ্বাস করি, মানুষ যেভাবে সচেতন হচ্ছে, তাতে আগামী বছর ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছু হয়তো ভালো হবে।’
ব্যবসা-বাণিজ্যের সার্বিক দিকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে ইন্ডিকেশনগুলো দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঠিক থাকবে। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রপ্তানি ও রেমিট্যান্স ঠিক রাখা।’
শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরাতে হবে
শিক্ষাখাতকে বাঁচাতে বাংলাদেশকে করোনামুক্ত রাখার কথা জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক এবং শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক শেখ ইব্রাহিম কবির।
তিনি বলেন, ‘নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা করোনা মহামারি বাংলাদেশে আর ফিরে না আসুক এবং শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাভাবিক ক্লাসে ফিরতে পারে, পাঠদান কার্যক্রম যাতে সুষ্ঠুভাবে হতে পারে, নতুন বছরে এটাই প্রত্যাশা। তা না হলে গত ২ বছরের মতো শিক্ষার্থীরা আরও পিছিয়ে পড়বে।’
শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ক্লাসের সংখ্যা বাড়োনোর ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শেখ ইব্রাহিম কবির বলেন, ‘শিক্ষার ক্ষতি পোষানোর জন্য আমি সবসময় বলি ক্লাসের সংখ্যা বাড়াতে হবে, অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হবে, গ্রামগঞ্জে দুই-তিন শিফটে ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।’
এ জন্য প্রয়োজনে শিক্ষকদের ফি বাড়িয়ে দেয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
মনোযোগ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে
আগামী বছরে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, ‘আমার প্রত্যাশার জায়গা বাস্তবতার নিরিখে এখন একটাই। সেটা হচ্ছে, করোনার সংক্রমণ যেটা আমরা ২০২১-এ দেখলাম, ২০২০-এ দেখলাম, সেটা যেন ২০২২ সালে আর না থাকে। এই করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।’
স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বরাদ্দ বাড়ানো উচিত বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সময়মতো টিকা দেয়াসহ সবাইকে যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষার মধ্যে নিয়ে আসা যায় সে জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকা উচিৎ। আমরা নিজেরা যদি করোনা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারি, তা হলে আমাদের যে দৈনন্দিন স্বাভাবিক কার্যক্রম, সেগুলো আমরা ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারব।’
করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতে গুরুত্ব দেয়া দরকার বলে মনে করেন এই শিক্ষাবিদ। তিনি বলেন, ‘করোনা আমাদেরকে এখন এই শিক্ষাই দিয়েছে যে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা এই দুটি যে-কোনো রাষ্ট্রের জন্য যে-কোনো প্রজাতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ। তাই এই দুই সেক্টরে সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’
দলকে শক্তিশালী করবেন রাজনীতিবিদরা
নতুন বছরে তৃণমূলের রাজনীতিকে সুসংগঠিত করে দলকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চাই নতুন বছরে আওয়ামী লীগকে তৃণমূলে আরও সুসংগঠিত করতে। ২০২৩ সালের নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে দলকে সুসংগঠিত করাই আমাদের প্রত্যাশা।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-তনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে, তিনি যেভাবে সততা, সাহসিকতা, দেশপ্রেম দিয়ে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে মর্য়াদার আসনে নিয়ে গেছেন, তা অব্যাহত রাখা আমাদের লক্ষ্য।’
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, করোনামুক্ত বাংলাদেশ গড়া তাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘নতুন বছরে আওয়ামী লীগের প্রত্যাশা করোনা থেকে যেন দেশ মুক্তি পায়। একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক দেশ হয়। দেশের অর্থনীতি যেন আরও শক্তিশালী হয়। দেশ যেন আরও সমৃদ্ধ হয়।’
বিপরিতে আওয়ামী লীগের শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করাকে নিজেদের প্রত্যাশা বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশের সাধারণ জনগণ মুক্তি লাভ করুক এটাই এখন প্রত্যাশা। নতুন বছরের প্রত্যাশা। প্রতিটি দিনের প্রত্যাশা। আর এটা কেবল দলীয় প্রত্যাশা না, এটা দেশের প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা পূরণ হোক।’
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে সুসংগঠিত করা এবং দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখাকে আগামী দিনের প্রত্যাশা হিসেবে দেখছে জাতীয় পার্টি।
দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন বছরে জাতীয় পার্টির প্রত্যাশা থাকবে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। এ ছাড়াও দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাব।’
টিকাদানের গতি বাড়াতে চায় সরকার
১২ বছরের বেশি সব মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনতে চায় সরকার। সে জন্য আগামীতে এই খাতে উন্নতি অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘নতুন বছরে টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়াতে ১ জানুয়ারি দেশজুড়ে টিকার বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। তা চলবে টানা দুই মাস। দীর্ঘ এই ক্যাম্পেইনে ৩ কোটি ৩২ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এই টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ে। পাশাপাশি স্বাভাবিক টিকাদান কর্মসূচি ও বুস্টার ডোজ দেয়া চলমান থাকবে।’
ক্রীড়াবিদরা চান দেশের জন্য সাফল্য আনতে
ক্রিকেটসহ সব খেলায় বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে এমন প্রত্যাশা রেখেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘গত বছর আমাদের নারীরা আমাদের গর্বিত করেছে। ক্রিকেটে নারীরা সরাসরি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছে। একই সঙ্গে সাফের ফাইনালে আমাদের ফুটবলার মেয়েরা ভারতকে হারিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।’
প্রমীলা ফুটবলারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এই ক্রীড়াবিদ আরও বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশাটাও থাকবে বাড়তি।’
বৈষম্যহীন সমাজের প্রত্যাশা
মানুষে মানুষে দূরত্ব ঘুচিয়ে বৈষম্যহীন একটা সমাজ প্রত্যাশা করেন অভিনেত্রী বাঁধন।
জীবন আর ক্যারিয়ারের পাশাপাশি নিজের মেয়েকে নিয়েও তার ভাবনার কথা বলেছেন এ অভিনেত্রী। প্রত্যাশা, সবাই মিলে ভালো থাকার।
বাঁধন বলেন, ‘মানুষ হয়ে ওঠার যে প্রক্রিয়ায় আছি, সেটা সব সময় চালিয়ে যেতে চাই। আমার অনেক ভুল-ত্রুটি আছে, অজ্ঞতা আছে অবশ্যই। সেগুলো দূর করতে চাই।’
২০২১-কে নিজের নাটকীয় পরিবর্তনের বছর বলে মনে করেন তিনি।
বাঁধন বলেন, ‘আশেপাশের অনেকে খারাপ আছে দেখলে তখন নিজের ভালো থাকাটা হয় না। নতুন বছরে চাই বৈষম্য দূর হোক। তবে এই চাওয়াটা আমার সবসময় থাকবে।’
স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি
নতুন বছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর জোর দাবি জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেলিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো দেশগুলোর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ হলো জাতীয় বাজেটে জিডিপির ৫ শতাংশ পরিমাণ অর্থ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ করা। কিন্তু বিগত একযুগের বেশি সময় ধরে এই খাতে জিডিপির ১%-র কম অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
‘বর্তমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই বরাদ্দকে সঠিকভাবে ব্যয় করার সামর্থ্য রাখে না। ফলে প্রতিটি অর্থবছরে বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের একটি অংশ অব্যবহৃত থেকে যায়। তাই নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহার করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কলেবর এবং দক্ষতা বাড়ানো হোক। আমাদের দেশে স্বাস্থ্যসেবা বলতে মূলতঃ চিকিৎসাসেবাকে বোঝানো হয়। কিন্তু চিকিৎসাসেবা হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবার কয়েকটি অংশের একটি মাত্র।
‘এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিরোধী বা জনস্বাস্থ্য সেবা, চিকিৎসাসেবা ও মেডিক্যাল শিক্ষা, গবেষণা, সমন্বয় (কৃষি, মৎস্য, পরিবেশ, শিল্প, বন,পশুসম্পদসহ অন্য যেসব মন্ত্রণালয়/বিভাগ মানবস্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত সেসবের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য) এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে বিভক্ত করতে হবে। প্রতিটি বিভাগে একজন সচিব থাকবে।’
‘দীর্ঘদিন যাবত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতির অভিযোগ যুক্ত হয়ে আসছে। নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এইসব অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সত্যি সত্যি উদ্যোগী হবে,’ যোগ করেন তিনি।