বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লকডাউনে আটকে খাবারের জন্য কাঁদছে চীনের মানুষ

  •    
  • ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:৩৫

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, লকডাউনে আটকে পড়াদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা খাবার পাচ্ছেন না।

করোনার উৎসভূমি হিসেবে পরিচিত চীনের একটি শহরে লকডাউনে আটকা পড়ে খাদ্যের জন্য কাঁদছে সাধারণ মানুষ।

১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের শহর জিয়ানের এমন পরিস্থিতি কর্তৃপক্ষকে নতুন করে ভাবাচ্ছে বলে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি

স্থানীয় প্রশাসন বলছে, খাবারের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। তবে কর্মী সংকটে এগুলো বিতরণ অসম্ভব হয়ে হয়ে পড়েছে।

গত সপ্তাহে শাআনশি প্রদেশের শহর জিয়ানে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। টানা ৯ দিন ধরে চলছে লকডাউন। নিত্যপণ্যের জন্যও বাইরে বের হতে পারছে না মানুষ।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, লকডাউনে আটকে পড়াদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা খাবার পাচ্ছেন না।

চীনের এই শহরটিতে লকডাউন ঘোষণার প্রথম দিকে প্রতি পরিবারের যেকোনো একজন সদস্য খাবার বা নিত্যপণ্যের জন্য দুই দিনে একবার বের হওয়ার সুযোগ পেতেন। তবে সোমবার থেকে করোনা পরীক্ষার ফল নিশ্চিত হয়ে বের হওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে।

চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে একজন বলেন, ‘অনেক স্থানেই খাবার দেয়া হচ্ছে বলে শুনছি, তবে আমরা পাইনি। অনলাইনে কিছু নিত্যপণের অর্ডার দিয়েছি চার দিন, সেগুলোও পৌঁছায়নি। ঘরে কোনো সবজি নেই।’

চলতি সপ্তাহে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে খাবার সংকট নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়াতে দেখা যায়।

রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, বাড়িতে খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে, কিন্তু এগুলো পৌঁছে দেয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবক পাওয়া যাচ্ছে না। যানবাহনের চালকদের অনেকেই কোয়ারেন্টিনে আছেন।

খাদ্য সংকটের কথা অস্বীকার করে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাসিন্দাদের জন্য যথেষ্ট খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০; মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৬৯৯ জনের।

এ বিভাগের আরো খবর