বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: মন্ত্রীর বক্তব্যে টিআইবির ‘সতর্ক সাধুবাদ’

  •    
  • ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:৪৪

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আইনটির অপব্যবহার রোধে যে কোনও ধরনের সংশোধনে গঠিত কমিটিতে সব অংশীজন, বিশেষ করে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা জরুরি। নয়তো নতুন উদ্যোগটিও ভেস্তে যাবার শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।’

দেরিতে হলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের কথা স্বীকার করে আইনের নিবর্তনমূলক ধারা সংশোধন নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যে ‘সতর্ক সাধুবাদ’ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

একইসঙ্গে মন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়ন দেখতে আইনটি মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা তা পর্যালোচনা ও সংশোধনে গঠিত কমিটিতে গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছে তারা।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি বলেছে, ‘আইনের চোখে সবাই সমান। শুধু সাংবাদিক নয়, দেশের সাধারণ নাগরিকের বিরুদ্ধেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা যাবে না।’

আইনমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘অবশেষে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘আইনটির অপব্যবহার রোধে যে কোনও ধরনের সংশোধনে গঠিত কমিটিতে সব অংশীজন, বিশেষ করে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা জরুরি। নয়তো নতুন উদ্যোগটিও ভেস্তে যাবার শঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার না করার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হলেও অন্তর্ভুক্তিমূলক নয়।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আর্টিকেল নাইনটিনের তথ্য অনুযায়ী, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২১ সালের ১১ মাসে মামলা হয়েছে ২২৫টি। সেসবে চারশ’র বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৬ জনকেই আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার এসব মামলার বড় অংশই হয়েছে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তির জন্য।’

আইনটি শুধু গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধই নয়, সাধারণ নাগরিকের ভিন্ন চিন্তা ও সরকারের সমালোচনা রোধে ব্যবহারের সুস্পষ্ট নজির তৈরি করেছে বলেও মন্তব্য করেন ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘যার বড় উদাহরণ এই আইনে করা মামলায় কারাগারে থাকা লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু। সুতরাং শুধু সাংবাদিক নয়, সাধারণ নাগরিকের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তারের নীতি থেকে সরে আসতে হবে।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার না করার একটি সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর আলোচনার পর মৌখিকভাবে থানাগুলোকে জানানো হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা ও সমানভাবে বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।

এ বিভাগের আরো খবর