মেহেরপুরের গাংনীতে সিটি ব্যাংকের এজেন্ট কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা মামলার আরেক আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
জেলা আদালতের মাধ্যমে শুক্রবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের মেহেরপুর শাখা।
গ্রেপ্তারকৃতের নাম আক্তারুজ্জামান সেতু। ২১ বছর বয়সী সেতুর বাড়ি মুজিবনগর উপজেলার গোপালপুর মধ্যপাড়ায়।
এর আগে ২৯ আগস্ট একই মামলার আসামি টুঙ্গি গোপালপুর গ্রামের সুমন হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি জুলফিকার আলী জানান, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে আরেক আসামি অবস্থান করছে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আখতারুজ্জামান সেতুকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই তাকে মেহেরপুরে নিয়ে আসা হয়। আজ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৬ আগস্ট উপজেলার গাঁড়াডোব-আমঝুপি সড়কের খোকসা গ্রামে দুপুরে ৩৫ বছর বয়সী খাদেমুলকে গুলি করে তার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা।
খাদেমুলের বাড়ি মহাজনপুর ইউনিয়নের যতারপুর গ্রামে। তিনি উপজেলার কোমরপুর গ্রামের সিটি ব্যাংকের একটি এজেন্ট শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন।
জানা যায়, খাদেমুল একটি ব্যাগে প্রায় ৫০ লাখ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে গাংনী শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে আরেকটি মোটরসাইকেলে দুজন তার গতিরোধ করে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তিনি বাধা দেন।
একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা গুলি করলে মাটিতে পড়ে যান খাদেমুল। এ সময় পথচারীরা ধাওয়া করলে টাকার ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
পরে স্থানীয়রা খাদেমুলকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা দেড়টার দিকে মৃত্যু হয় খাদেমুলের। এ ঘটনায় খাদেমুলের বড় ভাই পরের দিন গাংনী থানায় হত্যা মামলা করেন।
খাদেমুলের বাবা মিনারুল ইসলাম জানান, পূর্বপরিকল্পিতভাবে গুলি করে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন তিনি।