ঝিনাইদহের শৈলকুপায় প্রতিপক্ষের কোপে আহত এক যুবলীগকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মারা যান তিনি।
নিহত যুবলীগকর্মীর নাম স্বপন শেখ। ছোট ভাই সবুজ শেখ স্বপনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সবুজ শেখ জানান, সম্প্রতি স্বপনসহ আরও কয়েকজন শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজমের গ্রুপ পাল্টে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান ইকুর গ্রুপে যোগ দেন।
১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে একটি চায়ের দোকানে স্বপনসহ আরও কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছিলেন। গ্রুপ বদলের জেরে সেখানে তাদের ওপর হামলা চালান কাজী আশরাফুল আজমের লোকজন।
দৌড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আশ্রয় নিলে সেখানে তাদের কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে স্বপন ও রাব্বি গুরুতর আহত হন।
স্বপনকে উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মারা যান তিনি।
নিউজবাংলাকে নিহতের ছোট ভাই সবুজ শেখ বলেন, ‘আমরা ঢাকায় আছি। লাশের ময়নাতদন্তের পর এলাকায় নিয়ে যাব। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।’
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শুনেছি স্বপন মারা গেছেন। যেদিন তার ওপর হামলা হয়েছিল, ওই দিন তার চাচা ফরিদুল ইসলাম ২৯ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। সে মামলায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
‘যেহেতু স্বপন মারা গেছে, সেই মামলা এখন হত্যা মামলা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।’