বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগ-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৩০

  •    
  • ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:৩২

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এই ঘটনায় দুই চেয়াারম্যান প্রার্থী কর্মীদের আহত করা, নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর, এলাকায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে থানায় মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন।

ভোলার শিবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহত ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনি প্রচারের সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নৌকার জসিম উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাকিবের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় নির্বাচনি অফিস ও ঘরবাড়ি ভাঙচু করা হয়েছে। এ সময় রতনপুর ও শান্তিরজাট বাজারে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।

এসব ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন দুই প্রার্থী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এই ঘটনায় দুই চেয়াারম্যান প্রার্থী কর্মীদের আহত করা, নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর, এলাকায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে থানায় মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘৬ নম্বর ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক চলাকালে খবর পাই আমার নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় পিটিয়ে ও কুপিয়ে আমার ১০ থেকে ১২জন কর্মীকে আহত করা হয়েছে।

‘বিএনপি জামায়াতের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নির্বাচন বানচাল করার জন্য এ হামলা চালিয়েছে।’ দাবি করেন তিনি।

অপরদিকে পাল্টা হামলার অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাকিব।

তিনি বলেন, ‘ইভিএমে ভোটের নিয়ম দেখানোর সময় নৌকার সমর্থকরা হামলা চালায়। এতে আমার ১৪ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নেয়ার সময় এ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে মারধর করেছে।’

তবে নৌকার নির্বাচনি অফিস ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করছেন তিনি।

দুই প্রার্থীর দাবি অনুযায়ী, সহিংসতায় আহত উভয় পক্ষের ১২ জন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা প্রাথমিল চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, ‘উভয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। তা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান বলেন, ‘পঞ্চম ধাপে সদরের নির্বাচনের আগে বেশ কিছু ইউনিয়নে সহিংসতা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার জন্য বলা হয়েছে। যাতে করে নির্বাচনি কোন সহিংসতা না হয়।

‘এছাড়াও নির্বাচনকে ঘিরে আমরা ৫ স্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

পঞ্চম ধাপে আগামি ৫ জানুয়ারি শিবপুর ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ইউনিয়নে মোট আটজন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে লড়ছেন।

এ বিভাগের আরো খবর