হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সহযোগীকে ‘ধর্ষণের সুযোগ’ না দেয়ায় প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ ও গলা কেটে হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন প্রেমিক খলিল উদ্দিন।
হত্যার ঘটনায় খলিল উদ্দিন ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তাহমিনা হকের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন খলিল।
নিহত কিশোরীর বাড়ি একই উপজেলায়। গ্রেপ্তার প্রেমিক খলিল উদ্দিন ও তার সহযোগী গোলাম হোসেনের বাড়ি উপজেলার হরিনগর গ্রামে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হবিগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল আহাদ জানান, ২৭ ডিসেম্বর সকালে নবীগঞ্জ উপজেলার বাগাউড়া এলাকায় ধানি জমিতে এক কিশোরীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
পরে জানা যায়, মরদেহটি ১৭ বছরের এক কিশোরীর। ২৮ ডিসেম্বর নিহতের বাবা নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ২৯ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এসআই আব্দুল আহাদ জানান, তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি শনাক্ত করেন। ৩০ ডিসেম্বর নবীগঞ্জ থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
তিনি আরও জানান, নিহত কিশোরীর সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে খলিল উদ্দিনের। একাধিকবার তারা শারীরিক সম্পর্কেও মিলিত হন।
হত্যাকাণ্ডের আগের দিন অর্থাৎ ২৭ ডিসেম্বর ওই কিশোরী অসুস্থতার কথা বলে খলিলের কাছে দুই হাজার টাকা ধার চান। তাকে রাতে দেখা করে টাকা নেয়ার কথা বলেন খলিল।
খলিল তার সহযোগী গোলাম হোসেনকে বিষয়টি জানান। রাতে কিশোরী এলে খলিল এলাকার ধানি জমিতে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এ সময় আড়ালে লুকিয়ে দেখেন গোলাম হোসেন।
একপর্যায়ে গোলামও শারীরিক সম্পর্ক করতে বললে কিশোরী অস্বীকৃতি জানান। এ সময় খলিলও তাকে গোলামের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বলেন। রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ও পরে গলা কেটে তাকে হত্যা করেন খলিল ও গোলাম।
এএসআই আব্দুল আহাদ বলেন, ‘জবানবন্দি শেষে দুই আসামিকে রাতেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’