রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক কিশোর নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সানু মং বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘কুড়িল বিশ্বরোড ফ্লাইওভারের নিচে কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা বিমানবন্দরগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিহতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তার নাম-পরিচয় শনাক্ত করা যাবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
একই জায়গায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হন দেশে ফেরা সৌদি প্রবাসী যুবক।
তিন মাস আগে সৌদি আরব থেকে ফিরেছিলেন দেশে। ফিরতি ফ্লাইট ছিল সন্ধ্যায়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল তার।
নিহতের নাম আল আমিন মোল্লা। রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে। গুরুতর আহত ওই যুবককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের চাচাতো বোন নিলুফার ইয়াসমিন জানান, আল আমিন কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় রেললাইনের পাশে ছিলেন। তিনি কীভাবে ট্রেনে কাটা পড়লেন সেটি বুঝতে পারছেন না।
আল আমিনের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার দর্জিকান্দী গ্রামে। তার বাবার নাম নুরুল হক মোল্লার। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট।
আল আমিন ও স্ত্রী সুরভী আক্তার সুরভীর সংসারে একমাত্র কন্যা সাত বছর বয়সী আলাবি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলুফার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ভাই সৌদি প্রবাসী তিন মাস আগে বাংলাদেশে আসেন। আজকেই তার ফ্লাইট ছিল, তার আর সৌদি যাওয়া হলো না।’
হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া আল আমিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ে থানাকে জানানো হয়েছে।