পাবনার হেমায়েতপুর ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার মামলায় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহার করা বন্দুকও জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
সদর থানার আফুরিয়া এলাকায় বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে মো. ফারুক নামে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১২ সিপিসি-২ পাবনার ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এএসপি কিশোর রায়।
এই মামলায় উপজেলার নাদিরপুর হাটপারার নিজ বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গ্রেপ্তার করা হয় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তরিকুল ইসলাম নিলুর স্ত্রী মালেকা বেগমকে।
হেমায়েতপুরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভোটের পর সহিংসতায় নিহত হন শামীম হোসেন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
এ ঘটনার পর স্থানীয়দের বরাতে ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রামের একটি দোকানে সন্ধ্যায় কথা বলছিলেন ইউপি নির্বাচনে পরাজিত নৌকার প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শামীম হোসেন। এ সময় পরাজিত আরেক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তরিকুল ইসলামের লোকজনের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে তারা তরিকুলকে খবর দেয়। তিনি এসেই লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে শামীমকে গুলি করেন। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত তাকে ঘোষণা করেন।’
ওসি আরও বলেন, ‘নিহত শামীমের বাবা নুর আলী প্রামাণিক বুধবার রাতে তরিকুল ইসলাম নিলুসহ তার পরিবারের ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।’
র্যাব কর্মকর্তা কিশোর রায় বলেন, ‘বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় সদর থানার আফুরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফারুককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রের সন্ধান দেয়। পরে নাজিরপুর হাটপাড়া এলাকায় ফারুকের বোন আমেনা খাতুনের বাড়ির পেছনে মাটি খুঁড়ে একনলা বন্দুক ও এক রাউন্ড খালি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।’
তিনি জানান, অস্ত্রের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় র্যাব আমেনা খাতুনকেও আটক করে। পরে আমেনা ও ফারুকের নামে অস্ত্র আইনে মামলা দেয়া হয়।