বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘শিক্ষকরা নির্বাচনে, ডাকসু কেন নির্বাসনে?’

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:২২

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘আমাদের মৌন মানববন্ধন চলাকালীন উপাচার্য স্যার এসেছিলেন। তিনি আমাদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেছেন, তোমাদের দাবি যৌক্তিক। তোমরা কথা বলতে থাক। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করব।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ভোটের সময় ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে মৌন মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাব ভবনের বাইরে ডাকসু নির্বাচনসহ গেস্টরুমে ছাত্র নির্যাতনবিরোধী বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা 'শতবর্ষের অর্জন ডাকসু কেন বর্জন', 'শিক্ষকদের নির্বাচন হয় ছাত্রদের নির্বাচন কেন নয়', 'হল যদি ছাত্রলীগ চালায় শিক্ষকরা কেন বেতন পায়?', 'হলে হলে শিক্ষক নির্বাচন নিয়ে শিক্ষক সমিতির ভূমিকা কী', 'শিক্ষকরা নির্বাচনে, ডাকসু কেন নির্বাসনে?' ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোট দিতে এসে শিক্ষার্থীদের অবস্থান এবং এসব প্ল্যাকার্ড দেখে রেগে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা বাজে উদাহরণ তৈরি করছ। তোমরা রাস্তা অবরোধ করছ, গণতান্ত্রিক অধিকার নষ্ট করছ। তোমাদের প্রতিবাদ হয়ে গেছে। অনুরোধ করছি, এখন তোমাদের অন্য যেখানে পছন্দ যাও।’

তিনি বলেন, ‘যারা গণতান্ত্রিক অধিকার নষ্ট করে, অন্যের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে, অন্তত তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক ডায়ালগ চলে না।’

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের মৌন মানববন্ধন চলাকালীন উপাচার্য স্যার এসেছিলেন। তিনি আমাদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেছেন, তোমাদের দাবি যৌক্তিক। তোমরা কথা বলতে থাক। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করব।’

তিনি বলেন, ‘উপাচার্য স্যার সংহতি জানালেও একটু পর প্রক্টর স্যার এসে আমাদের অবস্থান দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তবে পরে অবশ্য তিনি আলোচনার জন্য আমাদের দাওয়াত দেন।’

বিন ইয়ামিন বলেন, ‘করোনাকালীন অবস্থাতেও শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। কিন্তু ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হলেও করোনার দোহাইসহ বিভিন্ন অজুহাতে ডাকসু নির্বাচন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উপজীব্য হলো ছাত্ররা, অথচ শিক্ষকদের নির্বাচন হচ্ছে ছাত্রদের নির্বাচন দেয়া হচ্ছে না। আমরা অতি দ্রুত ডাকসু নির্বাচন চাই।’

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থী প্রতিনিধি থাকে না, হলে হলে শিক্ষক, প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় ছাত্রলীগ সিট বণ্টন করে, গেস্টরুমের নামে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নির্বাচন হয়, কর্মচারী কর্মকর্তা নির্বাচন হয় শুধু শিক্ষার্থীদের ডাকসু নির্বাচন হয় না। অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানাই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হুসাইন বলেন, ‘শতবর্ষের প্রোগ্রামে ডাকসু না থাকায় শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারেনি। হলে হলে ছাত্রলীগ দখলদারত্ব চালায় কিন্তু হাউস টিউটররা ঠিকই বেতন পান হল চালানোর জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম নির্যাতনবিরোধী আইন পাস করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর