করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কিনতে বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ইউরো বা প্রায় ২৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উন্নয়ন ও ঋণ দানকারী সংস্থা ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় দুই হাজার ৪২৬ কোটি টাকা।
‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯ পাবলিক হেলথ প্রোগ্রাম’ এর আওতায় এ টাকা করোনার টিকা কিনতে ব্যয় করবে সরকার। এটি বাংলাদেশে সংস্থাটির প্রথম একক ঋণ।
এর আগে চলতি বছরের ২৩ জুন, করোনারোধী টিকা কিনতে বাংলাদেশের জন্য ৯৪ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।
টিকার জন্য বাংলাদেশ সরকার এডিবির কাছে যে ঋণ-সহায়তা চেয়েছিল, তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ঋণ অনুমোদন করে এই উন্নয়ন সংস্থাটি।
এর আগে, করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতে চলমান প্রকল্পের আওতায় টিকা কিনতে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ৫০ কোটি ডলার সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্ব ব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় চার হাজার ২৫০ কোটি টাকা। এ বিষয়ে গত ১৩ এপ্রিল সংস্থাটির সঙ্গে একটি ঋণ চুক্তিও সই হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
ইআইবির সঙ্গে বৃহস্পতিবার অর্থায়ন চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং ইইউর পক্ষে ইআইবির এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান এডভারডাস বামস্টেইনাস এবং লিগ্যাল কাউন্সিল ইমানোল লেকু গার্থুবে ভার্চুয়ালি চুক্তিতে সই করেন।
এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
ইআরডি জানিয়েছে, কর্মসূচির আওতায় করোনার টিকা ক্রয় ও সরবরাহ করা, স্বাস্থ্য সেবাখাতকে আরও শক্তিশালী করা এবং স্বাস্থ্যখাতে সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো হবে।
ইআইবির নমনীয় এ ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ (এ সময় ঋণের সুদ বা আসল বা কোন কিস্তি দিতে হবে না) ২০ বছরে শোধ করতে হবে।
ইআরডি আরও জানায়, এ ঋণ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ইআইবির এক সঙ্গে দেয়া সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার ইআইবি আরেক ঋণদানকারী সংস্থা এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে যৌথ অর্থায়নের আওতায় রেলের চারটি এবং ঢাকা ওয়াসার একটি প্রকল্পে মোট প্রায় ৩ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।