কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ তোলা নারীর স্বামী যৌনকর্মীদের একটি দল পরিচালনা করতেন। প্রায় এক বছর ধরে এটিই তার পেশা।
কক্সবাজারে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে ঢাকা থেকে গত জানুয়ারিতে প্রথম তিনি সেখানে যান। ধীরে ধীরে সখ্য গড়ে তোলেন কক্সবাজারের স্থানীয় দালাল ও হোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। এই চক্রের কাছে চলতি ডিসেম্বরের শুরুতে স্থানীয় সন্ত্রাসী আশিকুল ইসলাম আশিকের নামে চাঁদা দাবি করা হয়।
ওই নারীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ আগের দিন আশিকের সঙ্গে দেখাও হয় তার স্বামীর। তার দাবি, চাঁদা না দেয়ার কারণেই ২২ ডিসেম্বর স্ত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করেন আশিকের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা।
কক্সবাজারে যৌনকর্মীদের চক্র চালানোর কথা নিউজবাংলার কাছে স্বীকার করেছেন ওই নারীর স্বামী। বর্তমান স্ত্রী ছাড়াও এর আগে তিনি আরেকটি বিয়ে করেন। প্রথম পক্ষের সেই স্ত্রীর অভিযোগ, তাকেও যৌনকর্মীর পেশায় নামাতে চেয়েছিলেন তার স্বামী। সেই বক্তব্যের রেকর্ডও রয়েছে নিউজবাংলার কাছে।
যৌন পেশায় জড়াতে নারীদের নেয়া হতো ঢাকা থেকে
কক্সবাজারে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা নারীর স্বামী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকার সময় বছরখানেক আগে যৌন পেশার সিন্ডিকেটে জড়ান। নিউজবাংলার অনুসন্ধান ও ওই ব্যক্তির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বেশি টাকা আয়ের জন্য এরপর তিনি যান কক্সবাজারে।
প্রথমবার গত ৮ জানুয়ারি সিন্ডিকেটের কয়েকজনের সঙ্গে কক্সবাজার গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে সেখানে একটি হোটেলে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ ছয়জন গ্রেপ্তার হন। ১২ দিন জেলে থাকার পর স্ত্রী জামিনে মুক্ত হলে তিনি ফিরে আসেন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায়। এরপর ঢাকা থেকে বিভিন্ন সময় কক্সবাজারে যাতায়াত করে সেখানকার যৌন ব্যবসায়ী চক্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন। এরপর গত সেপ্টেম্বর থেকে পুরো পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেন তিনি।
কক্সবাজারে যাওয়া পর্যটকদের মাঝে ছদ্মনাম ও ভুয়া হোটেলের নামে ছাপানো (কেবল মোবাইল ফোন নম্বরটি সঠিক) নিজের ভিজিটিং কার্ড বিতরণ করতেন ওই ব্যক্তি। এরপর তাদের চাহিদা অনুযায়ী হোটেল ও যৌনকর্মী সরবরাহ করতেন। এ ধরনের একটি কার্ডের নমুনাও পেয়েছে নিউজবাংলা।
এ ধরনের ভিজিটিং কার্ড ব্যবহার করেন ওই নারীর স্বামী
ঢাকা থেকে নারীদের তিনি যৌনকর্মীর পেশায় জড়াতে কক্সবাজারে নিয়ে যেতেন বলেও প্রমাণ পেয়েছে নিউজবাংলা। বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে এ বিষয়ে তার কথোপকথনের রেকর্ড পাওয়া গেছে। এসব ব্যক্তির মধ্যে আছেন ঢাকা ও কক্সবাজারের যৌন ব্যবসায়ী সিন্ডকেটের সদস্য, একাধিক নারী ও যৌনকর্মী পেতে আগ্রহী ব্যক্তি।
একটি কথোপকথনে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর গত জানুয়ারিতে কক্সবাজারে আটক হওয়ার বিষয়টিও এসেছে। আরেকটি কথোপকথনে তাকে বলতে শোনা যায়, স্থানীয় পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের ‘ম্যানেজ’ করে তিনি ব্যবসা করছেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর কক্সবাজারে যৌনকর্মীর চাহিদা কয়েক গুণ বেড়েছে বলেও তাকে বলতে শোনা যায়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শুরুতে ওই নারীর স্বামী সবকিছু অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু পর্যটকদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দিই, বিনিময়ে হোটেল থেকে কমিশন পাই।’
তবে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরলে তিনি স্বীকার করেন দ্বিতীয় বিয়ে করার ছয় মাস পরই তিনি এ কাজে জড়ান। ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় সাগর নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্বের সুবাদে যৌন ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন তিনি।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে আমার যাতায়াত শুরু হয়। এরপর কক্সবাজারে ব্যবসা স্থাপনের পরিকল্পনা অনুযায়ী জানুয়ারিতে আমরা চার বন্ধু্ তাদের স্ত্রীদের নিয়ে কক্সবাজার যাই। হোটেলে একটি বড় রুম ভাড়া নিয়ে সবাই একসঙ্গে ছিলাম। কিন্তু তখন পুলিশ ঝামেলা করে। এরপর সবকিছু গুছিয়ে গত সেপ্টেম্বরে স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে কক্সবাজার যাই।’
কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আশিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
আশিকের সঙ্গে পরিচয়ের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশিকের নাম আগে কয়েকবার শুনেছি, কিন্তু তার সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ২১ ডিসেম্বর রাতে। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে আশিকের নাম করে সোহেল নামে একজন আমার কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদা চায়।’
সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি এই সোহেলকেও এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই নারীর স্বামী জানান, ২১ ডিসেম্বর তারা সপরিবারে কক্সবাজারের লাইট হাউস এলাকার একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন। ওই তারিখ রাতে আশিক তার পিছু নিয়ে হোটেল রুমে প্রবেশ করে। তখন স্ত্রীর সঙ্গে আশিকের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
ওই ব্যক্তি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আশিক আমার ব্যবসা নিয়ে জানতে চান। এ সময় ছেলের অসুস্থতার কথা বলে তার মন জয় করি। তখন আশিক বাচ্চার চিকিৎসার জন্য ১ হাজার টাকা দেন। আমি তখন আশিককে বলি তার নাম ভাঙিয়ে আমার কাছে চাঁদা চাওয়া হয়েছে। আশিক বিষয়টা দেখার কথা বলে চলে যান।’
এরপর ভোর ৪টার দিকে আশিকের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ওই ব্যক্তির। আশিক তাকে পরদিন দেখা করতে বলেন। তবে পরদিন সকালে ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিয়ে হোটেল পরিবর্তন করে ফেলেন। এরপর সারা দিনে আশিক কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি। পরে সন্ধ্যায় লাবনী পয়েন্টে স্ত্রীসহ ঘুরতে গেলে সেখানে আশিকের সঙ্গে তাদের দেখা হয়।
আশিক এরপর ‘নিজেদের খরচের জন্য’ কিছু টাকা দাবি করেন বলে জানান ওই নারীর স্বামী। তার দাবি, কিছুদিন পর এই টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে হোটেলে ফিরতে রওনা দেন। তবে কিছুদূর যাওয়ার পর তার স্ত্রী আচার কিনতে দাঁড়ালে তিনি সামনে এগিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর পেছনে ফিরে দেখেন স্ত্রী নেই।
এর আগে কক্সবাজার থেকে ঢাকা ফেরার পর ওই নারী নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘আচারের ভ্যানের সামনে দাঁড়ানো অবস্থায় আশিক হঠাৎ তার হাত ধরে টান দিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নেয়। তখন আশিকের সঙ্গে আরও দুজন ছিল। সিএনজিতে বসেই আশিক আমার স্বামীকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলে।’
ওই নারীর দাবি, অটোরিকশায় তুলে আশিক প্রায় ১ ঘণ্টা কক্সবাজারের বিভিন্ন সড়কে ঘুরে বেড়ায়। এরপর তাকে একটি একতলা বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই নারী বলেন, ‘বাসাটি তালা দেয়া থাকায় আশিক ছোটন নামে একজনকে (জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার) ফোন করে তার মোটরসাইকেল নিয়ে আসতে বলে। এরপর সেই মোটরসাইকেলের পেছনে চড়িয়ে ওই নারীকে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই নারী বলেন, ‘হোটেলে ঢোকার আগে আশিক আমাকে হুমকি দিয়ে বলে আমার স্বামী-সন্তানকে আটকে রাখা হয়েছে। কোনো ঝামেলা করলে তাদের মেরে ফেলা হবে।’
জিয়া গেস্ট ইনের চেক-ইন হোটেলের কাউন্টারে বুধবার রাতে ওই নারীর সঙ্গে অভিযুক্ত আশিক। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেয়া
এরপর আশিকের সঙ্গে নিজের ছদ্মনামে হোটেলের লগ বইয়ে এন্ট্রি করেন ওই নারী। এরপর একটি রুমে গিয়ে আশিক ইয়াবা সেবন করে তাকে ধর্ষণ করেন বলে জানান ওই নারী।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এরপর আমার স্বামী আশিককে ফোন করে জানান তিনি টাকা দেবেন, তবে স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে হবে।’
ওই নারীর স্বামী নিউজবাংলার কাছে দাবি করেন, বিচ এলাকায় স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে শুরুতে তিনি ৯৯৯-এ ফোন করেন। তবে সে সময় তিনি স্ত্রীকে অপহরণের কোনো তথ্য দেননি। স্ত্রীকে না পাওয়ার বিষয়টি কক্সবাজার সদর থানায় জানানোর পর থানা থেকে তাকে জিডি করার পরামর্শ দেয়া হয়। এরপর একটি বিলবোর্ড থেকে তিনি র্যাবের নম্বর পেয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। র্যাবের পরামর্শেই তিনি আশিকের ফোনে যোগাযোগ করে টাকা দেয়ার প্রস্তাব করেন।
ওই নারী নিউজবাংলাকে জানান, তার স্বামী আশিককে ফোন করার কিছু সময়ের মধ্যে আরেকজন ফোন করেন। তিনি আশিককে বলেন, ডিবি পুলিশ তাকে খুঁজছে। এর পরই হোটেল ছেড়ে চলে যান আশিক।
পরে ওই নারী হোটেল থেকে বেরিয়ে কিছুটা দূরে স্বামীসহ র্যাব সদস্যদের দেখতে পান।
ওই নারীর অভিযোগ, ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনের কক্ষে নিয়ে আশিকের দুই বন্ধু তাকে ধর্ষণ করেন। এর কিছুক্ষণ পর আশিক এসে নারীকে আবার মোটরসাইকেলে করে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে নিয়ে যান।
জিয়া গেস্ট ইন হোটেল
প্রথম স্ত্রীকে ‘খারাপ কাজের’ প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি
কক্সবাজারে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা স্বামী তার প্রথম স্ত্রীকে যৌন পেশায় জড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রথম স্ত্রী নিজেই নিউজবাংলার কাছে এই অভিযোগ করেন।
তার দাবি, ওই ব্যক্তি প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রথম পক্ষের দুই সন্তানের ভরণ-পোষণও দিচ্ছেন না তিনি। বর্তমানে গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে আছেন ওই ব্যক্তির প্রথম স্ত্রী। দুই সন্তান আছে কিশোরগঞ্জে তার মায়ের কাছে।
প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নিউজবাংলা। তিনি জানান, সাত বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। সে সময় তার স্বামী গাজীপুরের মাওনা এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন ও খণ্ডকালীন রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত বছর গোপনে আরেকটি বিয়ে করার পর তিনি প্রথম স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে পালিয়ে যান।
প্রথম স্ত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সে (স্বামী) নেশা করত, আরও নানা ধরনের বাজে অভ্যাস ছিল। তাই কেউ তাকে পছন্দ করত না। আমি কেন ছেলেসন্তান দিতে পারি নাই, সেটা নিয়ে আমার ওপর তার রাগ ছিল। কিন্তু সে যে এভাবে আরেকটা বিয়ে করে ফেলবে, এটা কখনও বুঝি নাই।’
প্রথম স্ত্রী জানান, স্বামী কোনো যোগাযোগ না রাখায় ও খরচ না দেয়ায় দুই সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকার উপক্রম হয়। এরপর তিনি বাবার বাড়ি চলে যান। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চলতি বছরের জুনে গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরব চলে যান তিনি।
প্রথম স্ত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাত-আট মাস আগে হঠাৎ সে (স্বামী) ফোনে যোগাযোগ করে। উনি আমাকে বলেন, তার কাছে এখন প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আসে। তার লাখ টাকা ইনকামের ব্যবস্থা হয়েছে। আমাকেও লাখ লাখ টাকা ইনকামের ব্যবস্থা করে দেবে।
হলিডে মোড়ের সি ল্যান্ড হোটেলের ২০১ নম্বর কক্ষটি স্বামী-সন্তানকে নিয়ে ২২ ডিসেম্বর ভাড়া নেন ওই নারী
‘সে আমাকে তার কাছে যেতে বলে। আমি তখন জানতে চেয়েছি, কী এমন কাজ যা করলে আমাকে লাখ লাখ টাকা দেবে? তখন উনি বলেন কাজ যাই হোক লাখ লাখ টাকা পাওয়া যাবে এটাই মূল বিষয়। এ কথা শোনার পর আমি বুঝে গিয়েছিলাম সে কোনো খারাপ পথে চলে গেছে। সে আমাকে দিয়ে খারাপ কাজ করাতে ফোন করেছিল।
‘তখন আমি বিষয়টি আমার মামিকে জানিয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল উনি নিশ্চয়ই নারী পাচার অথবা খারাপ কাজে জড়িয়েছে। তার কথা আমার সুবিধার মনে হয়নি। এরপর যোগাযোগ পুরো বন্ধ করে দিয়ে আমি সৌদি আরব চলে আসি।’
এই অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি আমার প্রথম স্ত্রীকে মুখে তালাক দিয়েছিলাম, পরে আবার মাফ করে দিয়েছি।’
স্ত্রীকে দিয়ে ‘খারাপ কাজ’ করানোর পরিকল্পনা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি দুই স্ত্রীকে আলাদাভাবে রাখতে চেয়েছিলাম। তাই প্রথমজনকে দুই বাচ্চা নিয়ে চলে আসতে বলেছি। তখন আমার লাখ লাখ টাকা ইনকামের ব্যবস্থা ছিল। ওই টাকা দিয়ে দুটি পরিবার খুব ভালোভাবে চলতে পারত।’