আগামী বছরের মাঝামাঝি ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পয়লা ফেব্রুয়ারি এসএসসি এবং পয়লা এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার রেওয়াজ থাকলেও তা পিছিয়ে গেছে। পরীক্ষা স্বাভাবিক সময়ে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা থাকবে। আশা করছি, যদি খুব বেশি অসুবিধা না হয়, তাহলে আগামী বছরের পরীক্ষাটা জুন-জুলাইয়ের মধ্যে করে ফেলার চেষ্টা করব। তবে সবকিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।’
চলতি বছরের মতো গ্রুপভিত্তিক নৈর্বাচনিক বিষষে পরীক্ষা নেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,
‘যদি সম্ভব হয় তাহলে সব বিষয়েই পরীক্ষা নেয়া হবে। আর যদি একেবারেই সম্ভব না হয়, তাহলে নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা হবে। আশা করছি, সব বিষয়ের পরীক্ষাই নেয়া সম্ভব হবে।’
চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় একজন পরীক্ষার্থীও পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৮টি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক দিন থেকে এ বিষয়টিতে নজর দিচ্ছি। এমন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন থাকবে, যেখানে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারবে না। আমাদের জন্য এক অর্থে খুবই স্বস্তিকর যে ১০৪ থেকে এই সংখ্যাটি ১৮-তে নেমে এসেছে। আমরা চাই যে এ রকম কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকবে না, যেখানে একজনও পাস করবে না। কারণগুলো এবারও খুঁজে দেখে সমাধানের চেষ্টা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক জায়গায় অর্থনৈতিক নানা কারণ থাকে, হয়তো প্রতিষ্ঠানের অবস্থা একেবারেই ভালো নয় বা অন্য কিছু। যে কারণই থাকুক আমরা কারণগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো দূর করবার চেষ্টা করব।’
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়ার পরও ৬ শতাংশের মতো অকৃতকার্য হয়েছে, এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেরই অনেক রকমের প্রতিবন্ধকতা থাকে, অনেক সমস্যা থাকে। কেউ পরীক্ষার সময় অসুস্থ হয়ে যায়, ভয় পেয়ে যায়, আমরা নিজেরাও জীবনের অনেক দূর পার করে এসেছি, আমরা জানি পরীক্ষা সব সময় এক রকম হয় না। এমনকি ভালো পড়াশোনা করেছে, ভালো প্রস্তুতি ছিল এরপরও অনেক সময় পরীক্ষা ভালো হয় না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে সেটা ভালো। এই সময়টায় অনেক চাপের মধ্য দিয়ে আমাদের পরীক্ষার্থীরা গেছে। পারিবারিক থেকে শুরু করে নানান ধরনের সমস্যা ছিল, কোভিডের কারণে বাড়তি অনেক চাপ ছিল। অনেকে ট্রমার মধ্য দিয়েও গেছে। পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-পরিজন বা পরিবারের কাউকে হারিয়েছে তারা। সেগুলোকেও বিবেচনায় নেয়ার দরকার আছে।’