বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিমান্ড-জামিন নাকচ, হলি ফ্যামিলির সেই শিক্ষক জেলে

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:০৯

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সালমান রহমান শিক্ষক ও চিকিৎসক সালাউদ্দিন চৌধুরীকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে পাঁচদিন রিমান্ডের আবেদন করেন। বিকেলে বিচারকের খাস কামরায় রিমান্ড ও জামিনের বিষয়ে শুনানি হয়।

রাজধানীর হলি ফ্যামিলি মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীর রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদ রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সালমান রহমান শিক্ষক ও চিকিৎসক সালাউদ্দিন চৌধুরীকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে পাঁচদিন রিমান্ডের আবেদন করেন। বিকেল ৫টার কিছু আগে বিচারকের খাস কামরায় রিমান্ড ও জামিনের বিষয়ে শুনানি হয়।

ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ করে ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের (নারী-শিশু) সাধারণ নিবন্ধন শাখার সদস্য বেলাল উদ্দিন এ তথ্য জানান।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। তাতে বলেছি যে ওই ছাত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন।

‘ওই ছাত্রীর করা মেসেজের স্ক্রিনশট আমরা খাস কামরায় শুনানির সময় প্রদর্শন করেছি। এছাড়াও আমার মোয়াক্কেল গত ২৬ ডিসেম্বর রমনা মডেল থানায় ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।’

ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২৮ ডিসেম্বর রমনা থানায় মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী। পরদিন তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরী গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর মেসেঞ্জারে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় এক শিক্ষাবর্ষে অনেক বছর আটকে রাখার হুমকি দেয়া হয়। এরপর কলেজে বিভিন্নভাবে ডেকে তার দেয়া মেসেজ ফোন থেকে মুছে ফেলতে এবং তার সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করতে বলেন ওই শিক্ষক।

এর আগে ওই শিক্ষক কলেজে প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে দু’দফায় ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু পড়াননি। পড়ার জন্য বার বার তার বাসায় যেতে বলেন। কিন্তু ওই ছাত্রী বাসায় যেতে রাজি হননি। এতে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হন। লোকলজ্জার ভয়ে এতোদিন কিছু না বললেও দিন দিন একাডেমিক লাইফ চরম হুমকির মুখে পড়ে তার।

ওই শিক্ষক অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে ছাত্রীকে ভয় দেখান। এসব অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী প্রথমে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রমনা থানায় মামলা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর