বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যেকোনো চ্যালেঞ্জ জিততে পারে তরুণরা: রাষ্ট্রপতি

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:৩৪

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘তারুণ্যের এই উদযাপন আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে আগামী দিনগুলোতে সুন্দর কিছু হবে। যে চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন, তরুণরা সাহসিকতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করবে, শক্তভাবে লড়াই করবে এবং শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে। কারণ, আমার অভিজ্ঞতায় সব সময় লক্ষ্য করেছি যে তারুণ্যের শক্তির জয় সব সময়ই হয়।’

নিয়ত পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণরা দ্রুত নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, তারাই অগ্রগতির সূচনাকারী। যেকোনো চ্যালেঞ্জ সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করে জয়ী হওয়ার সামর্থ্য তরুণদেরই আছে।

ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘তারুণ্যের এই উদযাপন আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে, আগামী দিনগুলোতে সুন্দর কিছু হবে। যে চ্যালেঞ্জই আসুক না কেন, তরুণরা সাহসিকতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করবে, শক্তভাবে লড়াই করবে এবং শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে। কারণ, আমার অভিজ্ঞতায় সব সময় লক্ষ্য করেছি যে তারুণ্যের শক্তির জয় সব সময়ই হয়।’

ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল বিশ্ব ও বাংলাদেশের তরুণদের জন্য একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি তরুণরা পারস্পরিক তথ্য বিনিময় এবং কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার মাধ্যমে একত্রিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তরুণদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। সেই নেটওয়ার্ক ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে তরুণরা সহযোগিতা ও সহাবস্থানের একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তুলবে।’

এবার ইয়ুথ ক্যাপিটালের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সমতা ও সমৃদ্ধির জন্য স্থিতিস্থাপকতা।’ এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘সংকটে যুবকরা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। যেমনটা তারা রেখেছে সাম্প্রতিক মহামারিতেও। একটি শক্তিশালী যুব নেটওয়ার্ক হলো এমন বলিষ্ঠ শক্তি যা সব প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে সমতা ও সমৃদ্ধির পথে স্থিতি তৈরি করে। আমি আশা করি, তরুণরা এই দর্শনকে নিজের মধ্যে ধারণ করে সমাজ ও মানবতার জন্য অবদান রাখবে।’

বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার বিষয়টিও উঠে আসে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ গত এক দশক ধরে উন্নয়নের পথে হাঁটছে। যা অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই যাত্রায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন কারণ তিনি তার বাবার মতোই তরুণদের অনুপ্রাণিত করে চলেছেন। এটা বলতে আমার গর্ব অনুভব হয় যে তরুণরা আমাদের সাম্প্রতিক উন্নয়নের সীমানা শক্তি।’

‘একত্রিত হয়ে তরুণরা যেকোনো কিছুই অর্জন করতে পারে’ বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০ তরুণদের একত্রিত করার ক্ষেত্রে একটি বড় প্ল্যাটফর্ম।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথাও উঠে আসে রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘আজ আমি আপনাদের বলতে চাই, বিশেষ করে বিশ্বের তরুণদের কাছে, বঙ্গবন্ধুর তারুণ্য ও তারুণ্যের চেতনা এবং বাংলাদেশের সোনালি তারুণ্যের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু তার জীবদ্দশায় যা করেছেন তা মানবজাতির ইতিহাসে খুব কম মানুষই করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কথা বললেই ইতিহাস ও ইতিহাসের বৃত্তান্ত আপনা-আপনি উঠে আসে।’

বঙ্গবন্ধু সব সময় অন্যের কথা ভাবতেন জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘নিজের সুখ-দুঃখের চিন্তা না করে অন্যের চিন্তা করতেন। এটাই ছিল শুরু। তিনি যখনই অন্যায়, শোষণ ও দমন-পীড়ন দেখেন, তখনই প্রতিবাদ করতে থাকেন। তিনি কখনও তার নিজের বা তার পরিবারের মধ্যে আটকে ছিলেন না।’

ঢাকার পর পরবর্তী ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটালের ভেন্যু ঠিক করা হয়েছে তাতারাস্তানের রাজধানী কাজানে। সেই যুব সম্মেলনের সাফল্য কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।

এ বিভাগের আরো খবর