প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাড়াবাড়ি করছেন অভিযোগ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগের সমর্থকরাও এটা সমর্থন করছে না। তিনি মনে করেন, শেখ হাসিনার পতন অবধারিত, শুধু সময়ের ব্যাপার।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুযোগের দাবিতে সমাবেশে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা কখনও খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে না। চিকিৎসা করাতে দেবে না। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার আগ পর্যন্ত অস্থিরভাবে আগ্রহ করছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার পথে বাধা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে আগে সরাতে হবে, তাহলে খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন। তাহলে খালেদা জিয়া পছন্দমতো চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে পারবেন।’
বাংলাদেশের সবাই খালেদার মুক্তি চায় দাবি করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘এমনকি আওয়ামী লীগের শতকরা ৯০ জন লোক শেখ হাসিনার এই বাড়াবাড়িকে পছন্দ করছে না।’
কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কারাগারে যাই তখন কারাগার কর্তৃপক্ষ আমাদের কানে কানে বলতেন, আমরা যত ভালো খাবারই দেই সেটা খাবেন না। জেলখানায় স্লো পয়জনিংয়ের বিষয়টা ব্রিটিশ আমল থেকেই আছে।’
আওয়ামী লীগের পালানোর জায়গা নেই জানিয়ে গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘কয়েক দিন আগে মুরাদ নামের একজন কানাডায় গিয়েছিলেন। বিভিন্ন এয়ারপোর্ট ঘুরে ফেরত এসেছেন, কেউ জায়গা দেয়নি। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতার এই অবস্থা হবে। কোথাও জায়গা হবে না। কোনো জায়গায় ঠাঁই পাবে না।
‘সেই কারণে শেখ হাসিনাকে বলব, জায়গা যখন বিদেশে পাবেন না, পালানোর চেষ্টা করা তো দরকার নাই। দেশেই যদি থাকতে চান তাহলে খালেদা জিয়ার কাছে ক্ষমা চান। দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান। দেশের মানুষের অধিকার ফেরত দেন। জনগণের সাথে একটু সমঝোতা করেন।’
ঢাকা জেলা বিএনপির আয়োজনে এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর হক মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আশফাক হোসেন, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলন নিরব, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, বিএনপির যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াসউদ্দিন মামুনসহ আরও অনেকে।