বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিটার্ন জমা রোববার পর্যন্ত

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:১৪

এনবিআর বলেছে, শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি হওয়ায় সব কর অফিস বন্ধ থাকবে। ফলে ২০২১-২২ করবর্ষের জন্য ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার শেষ তারিখ ২ জানুয়ারি রোববার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় আরও বাড়ানো হয়েছে। নতুন বছরের ২ জানুয়ারি (রোববার) পর্যন্ত রিটার্ন জমা দেয়া যাবে। এর ফলে করদাতারা রিটার্ন জমার জন্য আরও এক দিন সময় পেলেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে সময় বাড়ানোর কথা জানিয়েছে।

এর আগে রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩০ নভেম্বর থেকে বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। সেই অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর ছিল আয়কর জমার শেষ দিন।

এনবিআর বলেছে, শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি হওয়ায় সব কর অফিস বন্ধ থাকবে। ফলে ২০২১-২২ করবর্ষের জন্য ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার শেষ তারিখ ২ জানুয়ারি রোববার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

জরিমানা পরিহারের লক্ষ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে এনবিআর।

এর আগে রিটার্ন দাখিলের সময় ৩০ নভেম্বর থেকে এক মাস বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট অসুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এই সময় বাড়ানো হয়েছিল।

রিটার্ন জমার সময় বারবার বাড়ানোর সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে ২০১৬ সালে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবসে রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন নির্দিষ্ট করা হয় এবং ওই বছরই সংসদে এ-সংক্রান্ত আইন পাস হয়।

এনবিআর বলেছে, দেশে কোনো মহামারি কিংবা দুর্যোগ পরিস্থিতি হলে বিশেষ ব্যবস্থায় যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে সরকারের।

এরই অংশ হিসেবে করোনা সংক্রমণের মধ্যে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর ১৮৪ জি ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ানো হয়েছে।

আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানা দিতে হয়। তবে জরিমানা এড়াতে সময় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে আবেদন করলে তিন থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত সময় দেয়া হয়।

গত করবর্ষে মোট ২৪ লাখ ৩১ হাজার রিটার্ন জমা পড়ে।

রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ৭০ লাখের বেশি।

গত বছর করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ায় রিটার্নের সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল। করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

ফলে এনবিআর আশা করছে চলতি করবর্ষে ২৬ লাখ রিটার্ন ছাড়িয়ে যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর