বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে দিশেহারা পাড়ের মানুষ

  •    
  • ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১১:০৫

সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে আমরাজুড়ি সার্কেল অফিস (রাজস্ব), আশোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাস্তাঘাট, বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা। কাউখালী-ঝালকাঠি সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায়ও দেখা দিয়েছে ভাঙন। উপজেলার সোনাকুর, সয়না, রঘুনাথপুর, হোগলা, বেতকা, রোঙ্গাকাঠী, গন্ধর্ব গ্রামসহ ২৫টির বেশি গ্রাম রয়েছে হুমকিতে।

পিরোজপুরের কাউখালীর সন্ধ্যা ও কালীগঙ্গা নদীর পাড়ে তীব্র ভাঙনে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে পিরোজপুর-স্বরূপকাঠি সড়কের আমরাজুড়ি ও সয়না রঘুনাথপুরের কয়েক শ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি।

গত চার দিনে নদীর তীব্র স্রোতে ভাঙন বেড়েছে আগের থেকে কয়েক গুণ। ভাঙন ঠেকাতে ওই স্থানে স্থায়ী বেড়িবাঁধের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, ভাঙনে এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে আমরাজুড়ি সার্কেল অফিস (রাজস্ব), আশোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাস্তাঘাট, বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

কাউখালী-ঝালকাঠি সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায়ও দেখা দিয়েছে ভাঙন। উপজেলার সোনাকুর, সয়না, রঘুনাথপুর, হোগলা, বেতকা, রোঙ্গাকাঠী, গন্ধর্ব গ্রামসহ ২৫টির বেশি গ্রাম রয়েছে ভাঙনের মুখে।

সন্ধ্যা নদীর ভাঙনের কারণে গত দুই বছরে আমড়াজুড়ি ফেরিঘাট ২০ দফা স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা ইশবাল হোসেন জানান, আমরাজুড়ি ইউনিয়নের মূল বাজার এখন সন্ধ্যা নদীর মাঝে চলে গেছে। এরই মধ্যে আমরাজুড়ি ফেরিঘাট ও বাজারের অন্তত ২৫টি দোকান এবং কয়েক শ ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। বিদ্যালয়, ঘরবাড়ি, মসজিদসহ বেশ কিছু স্থাপনা রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে। গত এক মাসে জুড়ি ফেরিঘাট এলাকার সাতটি দোকান নদীতে বিলীন হয়েছে।

জরুরি ভিত্তিতে নদী শাসনের উদ্যোগ না নিলে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নদী পাড়ে বসা সবজি বিক্রেতা ডমলন শেখ জানান, যুগ যুগ ধরে সন্ধ্যা ও কালীগঙ্গা নদীর দুপাড় ভাঙছে। প্রতিনিয়ত এ এলাকার স্থাপনা ও গাছপালা সেই ভাঙনের বিলীন হচ্ছে। ভাঙন রোধে সরকারের সুদৃষ্টি না দিলে এ থেকে বাঁচা যাবে না।

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদা খাতুন রেখা জানান, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দেয়া হয়েছে। আসা করছেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মনু জানান, গত বছর শীত মৌসুমে নদী ভাঙন শুরু হলে জিও ব্যাগ ও গাছের খুঁটি দিয়ে জরুরি বাঁধ নির্মাণ হলেও এক বছরের মাথায় তা ভেঙে পড়েছে। তাই এলাকাবাসীর দাবি, এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হোক।

এ বিভাগের আরো খবর