ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আরেক নারী যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘আমার এখানে আইসিইউতে তিনজন নারী চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শাহিনুর বেগম নামে ৪৫ বছর বয়সী এক নারী মারা গেছেন। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। ‘এখন আইসিইউতে মারুফা বেগম ও মনিকা রানী নামে দুজন চিকিৎসাধীন আছেন।’
শাহিনুরের দেবর সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই-ভাবী, ভাতিজা-ভাতিজী মিলে চারজন ঐ লঞ্চে বরগুনা বেতাগী যাচ্ছিলেন। সদরঘাট থেকে তারা রওনা দেন। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড হলে তারা চারজন আহত হন।
‘ভাই বাচ্চু মিয়া আর ভাতিজি ইসরাত জাহান সাদিয়া চিকিৎসাধীন। ভাতিজা সাইফুল্লাহ সাদী চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছেন। ভাবী মারা গেলেন।’
দুর্ঘটনার শিকার পরিবারটি কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায় থাকে বলে জানান সাইদুর।
এ নিয়ে পুড়ে যাওয়া লঞ্চের অন্তত ৪৫ জন যাত্রী মারা গেলেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ আগুনে পুড়ে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জন নিখোঁজ থাকার তথ্য রয়েছে।
যদিও পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, লঞ্চটিতে অন্তত ৪০০ যাত্রী ছিল। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের দাবি, নৌযানটিতে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে এক হাজারের মতো।