বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি মার্চে: জব্বার

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:১০

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রযুক্তিতে পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে ফাইভজি যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ফাইভজি অপরিহার্য। আগামী মার্চের মধ্যেই দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি চালু হবে।’ তবে এখনই বেসরকারি মোবাইল অপারেটরগুলো দেশে ফাইভজি চালু করতে পারছে না। তাই ফাইভজি ছড়িয়ে দিতে আগামী মার্চে তরঙ্গ নিলাম করবে সরকার।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য অপরিহার্য ফাইভজি সেবা আগামী মার্চের মধ্যেই দেশে বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে। এমনটি জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

মন্ত্রী বুধবার ঢাকায় এক হোটেলে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিত ‘অ্যাকসেস টু মিনিংফুল কানেক্টিভিটি অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লিউশন’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বিআইজিএফ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির মহাপরিচালক মো. নাসিম পারভেজ, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, সাউথ এশিয়া আর্টিকেল ১৯-এর আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল, বিএনএনআরসি রিসার্চ ফেলো এএইচএম বজলুর রহমান, বিআইজিএফ সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হক অনু, সাংবাদিক রাশেদ মেহেদি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

গত ১২ ডিসেম্বর পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি ফাইভজিতে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক দেশের ছয়টি এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে উচ্চগতির এ ফাইভজি সেবা চালু করে। তবে শুরুতে শুধু ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ ভবন, সচিবালয়, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া এবং সাভারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকায় এই সেবা পাওয়া যাবে।

মোস্তাফা জাব্বার বলেন, প্রযুক্তিতে পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে ফাইভজি যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য ফাইভজি অপরিহার্য। আগামী মার্চের মধ্যেই দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি চালু হবে।

তবে এখনই বেসরকারি মোবাইল অপারেটরগুলো দেশে ফাইভজি চালু করতে পারছে না। তাই ফাইভজি ছড়িয়ে দিতে আগামী মার্চে তরঙ্গ নিলাম করবে সরকার।

মন্ত্রী বলেন, ‘যত বেশি ডিজিটাল, তত বেশি নিরাপত্তাঝুঁকি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল শিল্পবিপ্লব পৃথিবীতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উদ্দেশ্য এবং আমাদের উদ্দেশ্য এক নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন, তার আট বছর পর ২০১৬ সালে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ধারণাটি ঘোষিত হয়।’

দেশে ডিজিটাল ডিভাইডেশন নিরসনে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে জব্বার বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেটের এক দেশ এক রেট একটি বিপ্লবের নাম। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করা কোনো নাগরিককেও ইন্টারনেট অধিকার থেকে যেমন বঞ্চিত করা যাবে না। তেমনি প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য আলাদা কোনো রেটও গ্রহণযোগ্য নয়। এই লক্ষ্যে দেশের প্রায় প্রত্যেক মানুষের দোরগোড়ায় উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিয়েছি। করোনাকালে দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ এলাকায় ফোরজি নেটওয়ার্ক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ সময় হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘২০০৮ সালের ডিজিটাল কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ তৃতীয় শিল্পবিপ্লব যুগে প্রবেশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি অর্থনৈতিক অগ্রগতির অপরিহার্য অঙ্গ।’ ইন্টারনেটকে সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ইনু।

এ বিভাগের আরো খবর