কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে বুধবার দুপুরে নারী ও শিশুদের জন্য চালু হওয়া সংরক্ষিত জোন বন্ধ হয়ে গেছে রাতেই।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে বুধবার রাতে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জোন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পর্যটকদের অনুরোধেই নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা জোন চালুর বিষয়টি বিবেচনায় ছিল। এসব বিবেচনায় সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটি লাবনী পয়েন্টে বিশেষ এই জোন চালুর সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পদক্ষেপটি সমালোচিত হয়। এ কারণে সংরক্ষিত জোনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে লাবনী পয়েন্টের দেড়শ মিটার এলাকায় সংরক্ষিত জোন চালু করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মামুনুর রশীদ।
তিনি সে সময় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রশাসন চায় সৈকতে নারী ও শিশুরা বিশেষ সুরক্ষায় থাকবে। পর্যটনবান্ধব কক্সবাজার করতে আমরা সবাই কাজ করছি। হয়তো এ ছোট ছোট উদ্যোগ পর্যটন আকর্ষণে বড় ভূমিকা রাখবে।’
সম্প্রতি কক্সবাজারে এক নারীর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ দেশজুড়ে আলোচিত হওয়ার পর দেশের অন্যতম পর্যটনস্পটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়ে। এর পরপরই জেলা প্রশাসনের সংরক্ষিত জোনের সিদ্ধান্ত আসায় তা সমালোচিত হয়। যদিও ডিসি বলেন, এই জোনে নারীদের প্রবেশ বাধ্যতামূলক নয়। কোনো নারী স্বেচ্ছায় স্বস্তিতে সমুদ্রস্নান করতে চাইলে এই জোন ব্যবহার করবেন।
কক্সবাজার পিপলস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্বের কোনো দেশে এমন নজির নেই। এটি দেশের পর্যটনখাতে প্রভাব ফেলবে। পর্যটনের নিরাপত্তায় জোর না দিয়ে আলাদা জোনে কী হবে?’
এর আগে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতেও এমন জোনের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। সৈকতের সী-গাল পয়েন্টে এ জোন করা হয়। তবে সেটিও এক মাসের মাথায় বন্ধ হয়ে যায়।