কুমিল্লায় এক নারীকে হত্যা মামলার এক বছর পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লা সিআইডির পুলিশ সুপার (এসপি) খান মোহাম্মদ রেজওয়ান বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার দ্বীন ইসলাম দীনু ও দাউদকান্দি উপজেলার বড়কোট ভূইয়াবাড়ীর আবদুল্লাহ আনসারী মুন্না।
এসপি রেজওয়ান জানান, ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার রামপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পাশের ঝোপে বিছানার চাদরে মোড়ানো একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেটি ছিল এক নারীর। পুলিশের পক্ষ থেকে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় হত্যা মামলা হয়।
তিনি জানান, দীর্ঘ সময় মামলার সুরাহা না হওয়ায় কয়েক মাস আগে এর তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি। তদন্ত ও প্রযুক্তির মাধ্যমে গত ১৭ ডিসেম্বর ওই নারীকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সংশ্লিষ্টতার বিষটি নিশ্চিত হলে তাদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে আদালতে আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন।
এসপি বলেন, ‘জবানবন্দিতে আসামি দীনু জানান যে তিনি সেনানিবাস এলাকার নিশ্চিন্তপুরে একটি হোটেলে বয়ের কাজ করতেন। সেখানে নাজমা নামে ওই নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে পালিয়ে বিয়ের করার সিদ্ধান্ত হয়। তার আগে নাজমা বলেন তার কাছে ৬০ হাজার টাকা আছে।’
এসপি জানান, ওই টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেন দীনু। সে অনুযায়ী গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর নাজমাকে টাকা নিয়ে আসতে বলেন। কুমিল্লা সোয়াগাজী এলাকায় নিয়ে গিয়ে টাকা চাইলে নাজমা ১৫ হাজার টাকা বের করে দেন। বাকি টাকা না আনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন দীনু। মরদেহ ঝোপে ফেলে রাখেন তিনি। এ সবকিছুতে তার সহযোগিতা করেন বন্ধু আবদুল্লাহ আনসারী মুন্না।
কুমিল্লা ৯ নম্বর আমলি আদালতে স্বীকারোক্তি রেকর্ড শেষে বিচারক বেগম শারমিন রীমা আসামিদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।