ইউনিয়ন পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে নওগাঁর মহাদেবপুরে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে একটি কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার ভিমপুর ইউনিয়নের রসুলপুর কেন্দ্রে পুনরায় ভোটের দাবি করা হয়।
রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা রসুলপুরের পাঁচ শতাধিক ভোটার অংশ নেন। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য আশরাফ আলীর নেতৃত্বে মানববন্ধনে আদিবাসী শ্রীমতি পরিমনা তৈ, সত্যেন্দ্রনাথ, জগেন্দ্রনাথ, রতন চন্দ্র তৈ, চিত্তরঞ্জনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে তারা অভিযোগ করে বলেন, ভোট গণনার সময় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনগড়া সম্ভাব্য ফলাফল জানিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ান প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার।
তখন বিএনপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের রামপ্রসাদ ভদ্রের সঙ্গে যোগসাজশে তাকে বেশি ভোট দেয়ার বিষয় বুঝতে পেরে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে ফলাফল ওই কেন্দ্রে না জানিয়ে ব্যালট বাক্স নিয়ে তারা চলে যান।
তাই ভোটের ফলাফলে ব্যাপক কারচুপি সন্দেহে তারা তা প্রত্যাখ্যান করে ওই কেন্দ্রে পুনরায় ভোটের দাবি জানান। একই সঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রিসাইডিং অফিসার স্থানীয় চান্দাশ ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘সারা দিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। তবে ভোট গণনা চলাকালে ভোট কম পাওয়ার বিষয়টি নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা কেন্দ্রে ভাঙচুর করেন।
‘পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং ফলাফল জানিয়ে দিয়ে আমরা নিরাপদে কেন্দ্র ত্যাগ করি।’
রিটার্নিং অফিসার ও মহাদেবপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘নৌকা প্রার্থী প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ওই কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গণনার আবেদন করেছেন। তবে ফলাফল ঘোষণা শেষে ব্যালট বাক্সটি সিলগালা করা হয়েছে।
‘তাই এখন পুনরায় গণনার সুযোগ নেই। তবে পুনরায় ভোট গ্রহণ ও গণনার জন্য প্রার্থীকে আদালতের মাধ্যমে আসতে হবে। এ ছাড়া এলাকাবাসীরা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করতে পারেন।’
চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভিমপুর ইউনিয়নে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকে রামপ্রসাদ ভদ্র ৮ হাজার ৫৪৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে হাসান আলী মণ্ডল পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৫ ভোট পেয়েছেন। ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ১০৩ জন।