বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রী চাইলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: তৈমূর

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৩:৩৫

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণায় গিয়ে এই স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি ইচ্ছা করেন তাহলে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। বাংলাদেশের একমাত্র পাওয়ার পয়েন্ট প্রধানমন্ত্রী।’

সুষ্ঠু নির্বাচন করার মতো ক্ষমতা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নেই বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার। তার মতে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না তা নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাওয়ার ওপর।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ১ নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় বুধবার জনসংযোগকালে সাংবাদিকের এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি ইচ্ছা করেন তাহলে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। বাংলাদেশের একমাত্র পাওয়ার পয়েন্ট প্রধানমন্ত্রী। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কী হবে না, এটা নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর।’

বিএনপি আগেই জানিয়ে দিয়েছে, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনেক নির্বাচনের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না তারা।

এরপরও স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তৈমূর ও সাখাওয়াতসহ বিএনপির পাঁচ নেতা। পরে তৈমূর ছাড়া বিএনপি নেতাদের সবাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন দলীয় নির্দেশে নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের কথা জানান সাখাওয়াত হোসেন। এতে আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমূর আলম।

নিজের অবস্থান তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমার পা খুব শক্ত। আমি নিজের পায়েই ৫০ বছর ধরে বিভিন্ন অবস্থার মধ্যে হেঁটে চলছি। আমি শঙ্কিত নই। কারণ জনগণ আমার পাশে আছে। আমি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে চাই না।’

নির্বাচন কমিশন নিয়ে তৈমূর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। বিএনপি এত বড় র‌্যালি করেছে, নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে যাইনি। অথচ আমার অভিযোগ দেয়ার পরও তারা আওয়ামী লীগের সমাবেশ বন্ধ করেনি। সেখানে প্রতীকসহ সমাবেশ হয়েছে। আমি শঙ্কিত যে তারা আমাদের সঙ্গে দ্বিমুখী আচরণ করছে।’

প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রসঙ্গে তৈমূর বলেন, ‘সে অবশ্যই আমাকে চাচা বলবে, আমি তাকে ভাতিজি বলি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। জনগণ যাকে ভোট দেবে, সে-ই নির্বাচিত হবে।’

ভোটারদের সামনে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন তৈমূর। তিনি বলেন, ‘আমি নাগরিকসেবা ও নাগরিকদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই এই নির্বাচনে নেমেছি। নির্বাচিত হলে আমার প্রথম কাজ হবে অযাচিতভাবে যে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং পানির যে নতুন ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে এবং বিভিন্ন জটিলতাসহ জনদুর্ভোগ কমানো। হোল্ডিং ট্যাক্স ও পানির ট্যাক্স কমানো হবে।

‘ট্রেড লাইসেন্সও আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। জনগণকে হয়রানি করা হবে না, তাদের সেবা বৃদ্ধি করা হবে। খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি দেয়া যাবে না। তাদের আগে পুনর্বাসন করতে হবে, তারপর উচ্ছেদ করতে হবে। পুনর্বাসন ছাড়া কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।’

তৈমূর বলেন, ‘একটি নিরাপদ নগরী গড়তে হবে। শাবল পড়ে মানুষ মারা যাবে, রেল গেট ভেঙে যানজটে মানুষ মারা যাবে, সড়কের অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষ মারা যাবে, যানজট হবে, শব্দদূষণ হবে- এসব থাকবে না। জলাবদ্ধতা শেষ করে দেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর