বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার মার্সিডিজে মজলেন মোদি, ঠেকাবে গুলি-বিস্ফোরণ

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৩:১২

একটি এস সিক্স-ফিফটি গার্ডের দাম ১২ কোটি রুপি। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য এমন দুটি গাড়ি কেনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি ব্যবহার করবেন, আরেকটি ‘সম্ভাব্য হামলাকারীকে’ বিভ্রান্ত করতে ব্যবহার করা হবে।

সময়ের পরিবর্তনে উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন গাড়ি ব্যবহার করার ঝোঁক রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এবার নিজের সুরক্ষা আর নিরাপত্তার জন্য কিনেছেন গার্ড। যাকে ‘রক্ষাকারী বর্ম’ বলা যেতে পারে। যে বর্ম চাপাতে হবে না গায়ে, বরং সেখানে চেপে বসেই নিরাপদ থাকতে চান তিনি।

তেমন নতুন বর্ম দেখা গেছে দিল্লিতে। হায়দরাবাদ হাউসের সামনে দাঁড় করানো ছিল। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

কালো কাচ আর ঝা চকচকে কালো চার চাকার লিমুজিনের নামই গার্ড।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মোদির জন্য গাড়িটি তৈরি করেছে বিশ্বখ্যাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্সিডিজ। গার্ডের পুরো নাম ‘মার্সিডিজ-মে ব্যাচ এস সিক্স-ফিফটি গার্ড’। এটি মার্সিডিজের এস সিরিজের সবশেষ মডেল।

নতুন বাহর মার্সিডিজ গার্ড থেকে নেমে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

মার্সিডিজের ‘এস সিরিজ’ গাড়ির দুনিয়ায় বেশ কদর। তবে এটা সাধারণ কেউ তেমন ব্যবহার করেন না। এর ব্যবহারকারীরা মূলত বিভিন্ন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, এস সিরিজের মতো যাত্রী-নিরাপত্তা খুব কম গাড়িই দিতে পারে।

মোদি তার বাহনের বিষয়ে বরাবরেই শৌখিন। যখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই তার গাড়ি নির্বাচন খুব নজরকাড়া।

সে সময় মোদি চড়তেন বুলেটপ্রুফ মাহিন্দ্রা স্কর্পিওতে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পুরোনো গাড়ি বদলান।

প্রধানমন্ত্রী মোদির বাহন হয় বিএমডব্লিউয়ের সেভেন সিরিজের গাড়ি। বিএমডব্লিউ সিরিজের যে কয়েকটি গাড়ি উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন তার মধ্যে একটি সেটি।

এরপর ঘন ঘন বাহন বদলাতে থাকেন মোদি। সাত বছরে আরও দুইবার গাড়ি বদলান তিনি। প্রথমে ল্যান্ড রোভারের রেঞ্জ রোভার ভোগ কেনেন। পরে সেটিও বদলিয়ে কেনেন টয়োটার ল্যান্ড ক্রুজার।

গাড়িটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল, ১৬টি ক্যামেরায় নজরদারি করার ব্যবস্থা। পাশাপাশি টয়োটার গাড়িটিতে ব্যবহারকারীর চাহিদামতো পরিবর্তনও আনা যেত।

সেটিও এখন অতীত মোদির বহর থেকে। সে স্থানে নতুন যুক্ত হয়েছে এস সিক্স-ফিফটি গার্ড। যাতে একে-৪৭-এর গুলিও মোকাবিলা করতে পারবে খুব সহজেই। বুলেটপ্রুফের সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি বিস্ফোরণও প্রতিরোধ করতে পারবে।

মার্সিডিজের তৈরি গাড়িতে থাকা অবস্থায় দুই মিটার দূরত্ব থেকে যদি কেউ ১৫ কেজির বিস্ফোরণও ঘটায়, তবুও বনেটে একটু টোলও পড়বে না।

এস ৬৫০-এর জানালার ভেতরে রয়েছে পলি কার্বোনেটের আস্তরণ। মাইনজাতীয় বিস্ফোরণ থেকে বাঁচতে গাড়ির নিচের অংশেও রয়েছে বিশেষ সুরক্ষা বর্ম। এমনকি যদি গ্যাস হামলাও হয়, তবে আরোহীকে প্রয়োজনমতো বাতাস সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে গার্ডে।

গাড়িটির ইঞ্জিন ৬.০ লিটার টুইন টার্বো ভি ১২, যা ৫০০ হর্সপাওয়ার এবং ৯০০ নিউটন মিটার শক্তি উৎপাদন করতে পারে। অবশ্য নিরাপত্তার কথা ভেবে গাড়ির গতি থাকবে ১৬০ কিলোমিটারের।

মার্সিডিজ গার্ডের ভেতরের চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

গার্ডেরে টায়ার পাংচার হওয়ার কোনো ভয় নেই। কেননা পুরো চাকাটাই নিরেট বা ফ্ল্যাট টায়ার।

তাই মোদির এ বাহনটিকে বলা হচ্ছে ভিআর-১০ স্তরের নিরাপত্তা। এই মুহূর্তে গাড়ির জগতে এটিই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা।

গাড়িটি অন্ধকারে দূর থেকে যে কোনো বস্তুকে চিহ্নিত করার ক্ষমতা রয়েছে। এমনকি চালকের উল্টোদিকের আয়নায় ব্লাইন্ড স্পট থেকেও যদি কোনো গাড়ি হামলা করতে চায়, তবে তা ধরা পড়বে চালকের চোখে।

বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে গাড়ির পেছনের আসনেও রয়েছে এয়ারব্যাগ সুরক্ষা। এমনকি সিটবেল্ট যাতে বুকের ওপর অতিরিক্ত চাপ না দেয়, তার জন্য বেল্টের ভেতরেও আছে এয়ারব্যাগ।

একটি এস সিক্স-ফিফটি গার্ডের দাম ১২ কোটি রুপি। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য এমন দুটি গাড়ি কেনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি ব্যবহার করবেন, আরেকটি ‘সম্ভাব্য হামলাকারীকে’ বিভ্রান্ত করতে ব্যবহার করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর