ইউনিয়ন পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় একটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৮ জন প্রার্থীর ১৪ জনই জামানত হারিয়েছেন।
উপজেলায় ৩ নম্বর চান্দলা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
জানা যায়, ৩ নম্বর চান্দলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে মাত্র দুই ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. ওমর ফারুক। কাপপিরিচ প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ২৭১৮। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তফা আলী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২৭১৬ ভোট।
বাকি ১৬ জনের মধ্যে ১৪ প্রার্থী কম ভোট পাওয়ায় তারা জামানত হারান।
জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন, ১৬ ভোট পাওয়া ঢোল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাছির আহমেদ, দোয়াত কলম প্রতীকে ৫৭ ভোট পাওয়া মোছা. আলেয়া বেগম, ঘোড়া প্রতীকে ৭৮৫ ভোট পাওয়া আরিফুল ইসলাম, টেলিফোন প্রতীকে ৩০৮ ভোট পাওয়া ইসরাফিল ভূইয়া।
এছাড়া টেবিল প্রতীকের শাহিনুল আলম, আনারস প্রতীকের গোলাম ছারোয়ার ভুইয়া, রজনীগন্ধা প্রতীকের সাদেকুর রহমান, ব্যাটারি প্রতীকের আলাউদ্দিনের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
জামানত হারিয়েছেন, চশমা প্রতীকের জসীম উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকের সফিক ভুইয়া, গিটার প্রতীকের বিল্লাল হোসেন, রেডিও প্রতীকের রফিকুল ইসলাম, মোটরসাইকেল প্রতীকের সুলতান আহমেদ এবং টাইপ রাইটার প্রতীকের হাবিবুর রহমান।
ইউনিয়নে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৮ হাজার ২৯১। বৈধ ভোট পড়েছে ১১ হাজার ৯৮৭ ভোট। বাতিল হয়েছে ৩৭২ ভোট।
এ ইউনিয়নে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ।
তিনি জানান, কোনো রকম সহিংসতা ছাড়াই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। ঘোষণার পর সবাই ফলাফল মেনে নিয়েছেন।
কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার জানান, কেন্দ্রে যত ভোট পড়বে তার ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে ওই প্রার্থী জামানাত হারাবেন। সে হিসেবে ৩ নম্বর চান্দলা ইউনিয়নে মোট ১৪ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।