ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
বিষখালী নদীতে বুধবার সকাল ৯টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আগুনে পুড়ে যাওয়া ৪৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিষখালী নদীর তীরে চরে একটি মরদেহ আটকে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুনে পোড়া নারীর মরদেহ তুলে ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালে নিয়ে আসা হয়।
শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া নারীর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। তার পরনে গোলাপি রঙের কামিজ ছিল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহটি সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক সুরতহালের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
এর আগে উদ্ধার অভিযানের পঞ্চম দিন মঙ্গলবার দুপুরে সুগন্ধা নদীর লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা থেকে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ আগুনে পুড়ে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৭ জন নিখোঁজ থাকার তথ্য রয়েছে।
পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল, তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, লঞ্চটিতে অন্তত ৪০০ যাত্রী ছিল।
তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকের দাবি, নৌযানটিতে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে এক হাজারের মতো।