পারিবারিক বিরোধ থেকে একই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন তিন ভাই। প্রচারে একে অপরের বিরুদ্ধে করেছেন বিষোদগার। তবে ভোটে বড় দুই ভাইকে পেছনে ফেলে জিতেছেন ছোট ভাই।
ঘটনাটি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের। গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে এখান থেকে চেয়ারম্যান হয়েছেন শহিদুল ইসলাম মানিক।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজিজার রহমান বসুনিয়া জানান, মানিক ৪ হাজার ৬৫৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার বড় ভাই একরামুল হক সরকার দুলু পেয়েছেন ৭৯ ভোট এবং মেজো ভাই মোতালেব হোসেন দুদু পেয়েছেন ১ হাজার ২৮৭ ভোট।
মানিকের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম সংগ্রাম। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৩৯ ভোট।
তবে মানিক তাদের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ।
স্থানীয়রা জানান, কালুপাড়া ইউনিয়নে ১৯৯১-৯৫ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান ছিলেন একরামুল হক। তার ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম মানিক ২০০৩ সাল থেকে এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। এবার নিয়ে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হলেন তিনি।
তবে ভোটে হেরে বড় দুই ভাই মানিকের বিরুদ্ধে তুলেছেন কারচুপির অভিযোগ।
বড় ভাই একরামুল হক সরকার দুলু বলেন, ‘আমার টাকা নেই। ভোটারদের জন্য আলাদা টাকা খরচ করতে পারি নাই। আর মানিক ভোটের আগের রাইতে দুই হাজার টাকা করে দিয়ে ভোট কিনেছে। আমি টাকার কারণে হেরেছি।'
আরেক ভাই মোতালেব হোসেন দুদু বলেন, ‘আমি জনগণের চেয়ারম্যান। টাকার কারণে হেরেছি। মানিক অনেক টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে। আমি জনগণের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং সব সময় থাকব।’
চেয়ারম্যান পদে জয়ী শহিদুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘আমাকে এলাকার লোকজন চায় বলেই পরপর চারবার নির্বাচনে তারা আমাকে জিতিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে আমার ভাইয়েরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন।
‘আমার ভাইদের অন্য কেউ টাকা দিয়ে ভোটে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন, যাতে আমি নির্বাচিত হতে না পারি। কিন্তু জনগণ আমাকে ভালোবাসে। টাকা দিয়ে জনগণের ভোট কেনা যায় না। যেটা এবারও প্রমাণিত হলো।’