বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিউকম গ্রাহকের টাকা ফেরতে তালিকা চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:২০

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডিজিটাল কমার্স সেল প্রধান এএইচএম সফিকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিউকম ও ফস্টারের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’

পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারের কাছে কিউকমের আটকা পড়ে আছে ৩৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রাহকদের অন্তত ১৬৬ কোটি টাকা রয়েছে, যার বিপরীতে পণ্য ডেলিভারি করেনি এই ই-কমার্স কোম্পানি। এখন ফস্টারের জব্দ অ্যাকাউন্টে এসব টাকা আটকে আছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যেসব গ্রাহক অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করেও পণ্য পায়নি, কিউকম ও ফস্টারকে আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা ডিজিটাল কমার্স সেলে জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারের কাছে কিউকমের আটকে থাকা টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের এক অভ্যন্তরীণ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডিজিটাল কমার্স সেল প্রধান এএইচএম সফিকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিউকম ও ফস্টারের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

‘ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রণালয়, পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) ও বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, ই-কমার্স প্লাটফর্ম কিউকমের যেসব গ্রাহক অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করে পণ্য বা রিফান্ড কোনওটিই পাননি, তাদের অর্থ ফেরত দেয়ার বিষয়ে তাদের আপত্তি নেই। যে কারণে প্রক্রিয়াটি অনেকদূর এগিয়েছে। এখন কিউকম ও ফস্টারের মধ্যে লেনদেনে কোন গ্রাহকের কোন অ্যাকাউন্টে কত টাকা আটকে আছে তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা পেলেই আমরা টাকা ফেরতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

তবে বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, কিউকম ও ফস্টার উভয় কোম্পানির নামেই মামলা রয়েছে। যেসব গ্রাহক অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করেও পণ্য পাননি, কোম্পানির অপরাধে তাদের অর্থ আটকে রাখা কোনওমতেই যৌক্তিক নয় বলে সংস্থাগুলো একমত হয়েছে।

১০ জানুয়ারি পণ্য না পাওয়া গ্রাহকদের তালিকা পাওয়ার পর এসব অর্থ ফেরত দেয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেয়া হবে। তাতে আইনগত কোনও ঝামেলা না থাকলে গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেয়া হবে। আর আইনগত জটিলতা দেখা দিলে আদালতের নির্দেশনা সাপেক্ষে এসব অর্থ ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক ফস্টারের দুটি হিসাব স্থগিত করেছে, যেখানে প্রায় ১৯৪ কোটি টাকা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর