বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর সুযোগ আইনি ধারাতেই: ফখরুল

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:৫৪

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে সংলাপের জন্য ডাকাডাকি করা হচ্ছে, সংলাপের মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান হবে না। গণতন্ত্রের সমস্যার সমাধান হবে না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে আসবে না। কারণ এটা তো নির্বাচন কমিশনের সমস্যা না, সমস্যা হচ্ছে সরকারের।’

দেশের আইনি প্রক্রিয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে খালেদা মুক্তি এবং সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশ তিনি এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি, যারা আগের রাতে জোর করে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখল করে, তারা অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না।

‘তারা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে কথাগুলো বলছেন, এর সব মিথ্যা কথা ও প্রতারণা। আমাদের দেশের আইনের ৪০১ ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যেতে পারে।’

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যে সংলাপের জন্য ডাকাডাকি করা হচ্ছে, সংলাপের মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান হবে না। গণতন্ত্রের সমস্যার সমাধান হবে না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে আসবে না। কারণ এটা তো নির্বাচন কমিশনের সমস্যা না, সমস্যা হচ্ছে সরকারের।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারটা কে থাকবে; সেটা কি নিরপেক্ষ সরকার থাকবে, নাকি হাসিনা সরকার থাকবে। যদি হাসিনা সরকার থাকে, তাহলে আপনি ভোট দিতে পারবেন, পারবেন না। আপনার ভোট আপনি দিতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার প্রতারক। তারা প্রতারণা করছে। তাদের সঙ্গে বা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ করে গণতন্ত্রের ও জনগণের সমস্যার সমাধান হবে না। আমাদের পরিষ্কার কথা, সংলাপ, আলোচনা ও তালবাহানা বাদ দেন। পদত্যাগ করেন এবং পদত্যাগের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। তা না হলে কোনো নির্বাচন হবে না এবং কোনো সংলাপও হবে না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকাডাকি করছেন যে আসো আমরা আলাপ ও সংলাপ করি এবং আরেকটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করি। বাংলার মানুষ কি বোকা না আহাম্মক!

‘২০১৪ সালে একটা নির্বাচন করেছে, যেখানে কোনো ভোটই হয় নাই। আর ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছে, আগের দিন রাতেই ভোট ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। তখনও একটা সংলাপ ও আলোচনা হয়েছিল।’

সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা ও সাধারণ সম্পাদক এসএ কবির জিন্নাহসহ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর