বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা: আইনি লড়াইয়ে যাবে বাংলাদেশ

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:২৬

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ল’ ফার্ম নিয়োগ করার বিষয়ে ভাবছে সরকার। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে আমরা ভাবছি।’

বাংলাদেশ পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আইনি পন্থায় মোকাবিলা করবে সরকার।

সমস্যা নিরসনে সে দেশে আইনি সংস্থা বা ল’ ফার্ম নিয়োগের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সেখানে ল’ ফার্ম নিয়োগ করার বিষয়ে ভাবছে সরকার।‘নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আমাদের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস খোঁজখবর নিচ্ছে। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে আমরা ভাবছি।’

গত ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ রয়েছেন। তার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞার আওতায়ও পড়েছেন তিনি।

এ ছাড়া র‌্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘র‌্যাবের বিষয়ে যেসব প্রশ্ন রয়েছে, সেগুলোর জবাব যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ বা প্রতিষ্ঠানের কাছে দেয়া হয়েছে।’

এদিকে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে আশ্রয় দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা যুক্তরাষ্ট্রের মতো জায়গা, তারা সব সময় ন্যায়বিচারের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে, ভোটাধিকারের কথা বলে, তারা মানবাধিকারের কথা বলে, কিন্তু আমাদের যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল, আমরা যে ন্যায়বিচার পাইনি, তারপর যখন এই বিচার হলো, তখন খুনিদের আশ্রয় দিয়ে বসে আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর