বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগামী অধিবেশনেই ইসি আইন চায় ওয়ার্কার্স পার্টি

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:০৪

মেনন বলেন, ‘সরকারি দল থেকে বলা হচ্ছে যে এত অল্প সময়ে নির্বাচন কমিশন আইন করা সম্ভব নয়। আমরা রাষ্ট্রপতিকে বলেছি- কেন করা সম্ভব হবে না? ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান এক রাতের মধ্যে হয়েছিল। এমনকি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সময় আপিলের প্রশ্নে এসে যে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছিল সেখানেও সময় লাগেনি। অন্যান্য আইনের ক্ষেত্রেও খুব একটা সময় লাগে না।

আগামী বছরে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই নির্বাচন কমিশন আইন পাস করার জন্য সংলাপে রাষ্ট্রপতিকে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। মঙ্গলবার প্রায় এক ঘণ্টা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সংলাপে অংশ নিতে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে বঙ্গভবনে যায় ওয়ার্কার্স পার্টি। প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আনিসুর রহমান মল্লিক, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, কামরুল আহসান আলী আহমেদ, এনামুল হক এমরান ও নজরুল ইসলাম হক্কানী।

মেনন বলেন, ‘সরকারি দল থেকে বলা হচ্ছে যে এত অল্প সময়ে নির্বাচন কমিশন আইন করা সম্ভব নয়। আমরা রাষ্ট্রপতিকে বলেছি- কেন করা সম্ভব হবে না? ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান এক রাতের মধ্যে হয়েছিল। এমনকি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সময় আপিলের প্রশ্নে এসে যে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছিল সেখানেও সময় লাগেনি। অন্যান্য আইনের ক্ষেত্রেও খুব একটা সময় লাগে না।

‘সুতরাং আমরা রাষ্ট্রপতিকে বলেছি- বছরের শুরুতে যে অধিবেশন হবে তাতেই আইনটি দিতে পারেন। এর কাঠামো অলরেডি তৈরি করা আছে। শামসুল হুদা কমিশন এটা তৈরি করে গেছে। এছাড়াও বিদগ্ধজনদের কাছে আইনের বিধানাবলী রয়েছে। সরকার চাইলেই এটা পেতে পারে।’

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতিকে বলেছি, আপনি যেহেতু প্রথম অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন, সেহেতু আপনি জাতিকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে আইনটি এই অধিবেশনেই পাস হবে।’

‘আমরা সার্চ কমিটির কথা শুনেছি। তবে রাষ্ট্রপতি আমাদের সার্চ কমিটির কথা কিছুই বলেননি। আমরাও নাম দেইনি। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের বক্তব্য উল্লেখ করেছি। সে ক্ষেত্রেও যাদের সাংবিধানিক পদাধিকার তারাই সার্চ কমিটির সদস্য হবেন। তারা যাদের নাম দেবেন সংসদীয় হতে হবে। সংসদের কার্যনির্বাহী কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী আছেন, বিরোধীদলীয় নেতা আছেন, বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিত্ব আছে। সুতরাং যদি সার্চ কমিটিও গঠন হয় সংসদকে অনুসরণ করেই নাম দিতে হবে। না হলে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে না।

‘নির্বাচন কমিশনে যাতে দু’জন নারী সদস্য থাকেন এটা আমরা রাষ্ট্রপতিকে বলেছি।’

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান ইসি দেখিয়ে দিল যে তাদের কোনও তাপ-উত্তাপ নেই। বরং তারা সহিংস ঘটনাকে উৎসব বলল। আমরা এজন্য রাষ্ট্রপতিকে বলেছি, আইনের প্রয়োগ যে নির্বাচন কমিশন করতে পারবে সে কমিশন লাগবে।’

মেনন বলেন, ‘এ নিয়ে তিন দফা সংলাপে আসা হলো। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে একই বিষয় নিয়ে আমাদের পর পর তিনবার সংলাপে আসতে হলো। আমরা ২০১১ সালেও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সংলাপে অংশ নিয়ে নির্বাচন কমিশন আইনের কথা বলেছি; যার বিধান সংবিধানের ১১৮ ধারায় সুস্পষ্টভাবে রয়েছে। আমরা বর্তমান রাষ্ট্রপতিকেও বলেছি- আপনার সঙ্গে সংলাপে আমরা ২০১৬ সালে একই প্রস্তাব করেছি।

‘আমরা সুস্পষ্টভাবেই মনে করি যে নির্বাচন কমিশন আইন করাটা আমাদের জন্য ফরজ হয়ে গেছে। কারণ প্রতিবারই আইন না হওয়ায় নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে আস্থাহীনতার তৈরি হয়।

তিনি বলেন, ‘সরকারি দল আওয়ামী লীগসহ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশন আইন করার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করছে না। এখন রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নিলে আইনটি করা সম্ভব।

‘আমরা রাষ্ট্রপতিকে বলেছি যে রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিকদেরও সংলাপে ডাকুন। গণমাধ্যমকে ডাকুন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও বুদ্ধিজীবীদের ডাকেন। সময় কম থাকলেও সবাইকে ডাকুন।

রাষ্ট্রপতি কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উনিও মনে করেন, নির্বাচন কমিশন আইনটা হয়ে যাওয়া উচিত।’

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানান মেনন। বলেন, ‘আমরা তো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করেছি। সংবিধানে যে বিষয়টি নেই সেটি আবার থাকা উচিত সেটা আমরা মনে করছি না। আর আজকের আলোচ্য বিষয় এটা নয়।’

নির্বাচন কমিশন আইন না হলেও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে জানিয়ে মেনন বলেন, ‘আমরা তো কঠিন সময়েও নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। পরিবেশ ছিল না, তারপরও অংশ নিয়েছি। হেরে গেছি, তাতে কী হয়েছে?’

এ বিভাগের আরো খবর