বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন ক্যাম্পাসে খেলার মাঠ পাচ্ছেন জবি শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:২৭

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ক্রীড়া কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমরা ফাইল পাস করিয়ে দিয়েছি, চুক্তিও হয়ে গেছে। ওয়ার্ক অর্ডারও দিয়ে দেয়া হবে। জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই মাঠ প্রস্তুত হয়ে যাবে। শেডসহ বাকি কাজগুলো শেষ করতে একটু সময় লাগবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে এক অন্যরকম আমেজ নিয়ে খেলার মাঠে যাবে। খেলাধুলা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসেই ক্যাম্পাসে ফিরে আসবে।’

ঢাকার কেরাণীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী খেলার মাঠ তৈরি করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মাঠের পাশেই নির্মাণ করা হবে অফিস কক্ষ, থাকছে বিদ্যুৎ সংযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে খেলার মাঠে যাতায়াত করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

নতুন বছরের শুরুতেই অস্থায়ী এই মাঠে আন্তঃবিভাগীয় বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ক্রীড়া কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। খেলার মাঠ নিয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বিকল্প হিসেবে অস্থায়ী এই খেলার মাঠ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিউজবাংলাকে কোষাধ্যক্ষ বলেন, ‘আমরা ফাইল পাস করিয়ে দিয়েছি, চুক্তিও হয়ে গেছে। ওয়ার্ক অর্ডারও দিয়ে দেয়া হবে। জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই মাঠ প্রস্তুত হয়ে যাবে। শেডসহ বাকি কাজগুলো শেষ করতে একটু সময় লাগবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে এক অন্যরকম আমেজ নিয়ে খেলার মাঠে যাবে। খেলাধুলা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসেই ক্যাম্পাসে ফিরে আসবে।’

শরীরচর্চা শিক্ষা কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ও ক্রীড়া কমিটির সদস্য সচিব গৌতম কুমার দাস জানান, কেরাণীগঞ্জের মুজাহিদনগরে (শ্মশানঘাট) খেলার মাঠ তৈরির জায়গার পরিমাপ করা হয়েছে। মাঠটির উত্তর-দক্ষিণে ৮০ গজ বা ২৩৮ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ৬৮ গজ বা ২০৪ ফুট। খেলার মাঠের পরিমাপ অনুযায়ী মাঠটি কিছুটা ছোট হলেও আমরা এর মধ্যেই খেলাধুলা চালিয়ে নিতে পারবো। এটি পূর্ববর্তী ধূপখোলা মাঠের চেয়ে পরিমাপে একটু ছোট হবে। আগের মাঠের মতোই একটি জায়গাতেই ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার মাঠ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘৩১ জানুয়ারির মধ্যেই খেলার মাঠটি প্রস্তুত করতে হবে। কেননা এর পরপরই আন্তঃবিভাগীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হবে। কাজটি যাতে দ্রুত প্রস্তুত হয় সেজন্য কাজ শুরু হওয়ার পর আমিও সেখানে নিয়মিত যাবো এবং তদারকিতে থাকবো।’

মাঠ তৈরির কাজটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের অধীনে রয়েছে বলে জানান তিনি। ইতোমধ্যেই খেলার মাঠের নকশাও প্রণয়ন করা হয়ে গেছে।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রকৌশল দপ্তর, এস্টেট শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার ও শরীরচর্চা শিক্ষা কেন্দ্রের কর্মকর্তারা পুরো নতুন ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে উঁচু এই জায়গাটিতে অস্থায়ী মাঠ তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৮৪ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জগন্নাথ কলেজের শিক্ষার্থীদের খেলার কোনো মাঠ না থাকায় পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় অবস্থিত ৭ একর আয়তনের মাঠটি তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ তৎকালীন সরকারি জগন্নাথ কলেজকে ব্যবহারের মৌখিক অনুমতি দিয়েছিলেন। আর একটি অংশ ‘ইস্ট অ্যান্ড খেলার মাঠ’ নামে একটি ক্লাবের কর্তৃত্বে রয়েছে। অপর অংশটি রাখা হয় জনসাধারণের খেলার জন্য।

বর্তমানে ধূপখোলা মাঠটি একটি মেগা প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। খেলার মাঠ দখল করে মার্কেট নির্মাণ প্রকল্প শুরু করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে।

শিক্ষার্থীরা কয়েক দফা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশও করে। তবুও খেলার মাঠ নিয়ে কোনো সমাধান না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অস্থায়ীভাবে নতুন ক্যাম্পাসে মাঠ তৈরির পরিকল্পনা নেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, নতুন ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্প সম্পন্ন হলে সেই অনুযায়ী নতুন করে খেলার মাঠ নির্মাণ করা হবে। সে পর্যন্ত অস্থায়ী এই মাঠেই খেলাধুলা করবেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

এ বিভাগের আরো খবর