বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুজিব উদ্যানে চিরনিদ্রায় জয়নাল হাজারী

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:১৫

বিকালে ফেনী পাইলট হাইস্কুল মাঠে জড়ো হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। সেখানে জানাজা শেষে নিজ বাড়ি শৈল কুঠিরের মুজিব উদ্যানে সমাহিত করা হয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারীকে।

চলতি বছরের আগস্টে দুইবার ফেনীর মাটিতে পা রেখেছিলেন ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারী। এবার তৃতীয় বারের মতো তিনি ফেনী গেলেন বটে, তবে চিরবিদায় নিতে।

জয়নাল হাজারী যুগের অবসানের পর যতবারই তিনি ফেনী গিয়েছেন, ততবারই বাধার সম্মুখিন হয়েছেন। তবে মঙ্গলবার তাকে চিরবিদায় জানাতে বিকালে ফেনী পাইলট হাইস্কুল মাঠে জড়ো হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ।

ওই মাঠে বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটের দিকে তার জানাজা হয়। এরপর নিজ বাড়ি শৈল কুঠিরের মুজিব উদ্যানে সমাহিত করা হয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারীকে।

এর আগে ফেনী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাকে গার্ড অফ অনার দেয়া হয়।

তার জানাজায় ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীনসহ প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের সদস্যরা।

রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাব এইড হাসপাতালে সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রবীণ ও বিতর্কিত এই নেতা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের লাইভে এসে তিনি একবার বলেছিলেন ‘আমার মৃত্যুর পর নামাজে জানাজাটা যেন ফেনী সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে হয়।’

শেষ ইচ্ছা পূরণে উদ্যোগী হয়েছেন তারই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী।

স্থানীয় নেতারা জানান, তবে মৃত্যুর আগে তার জানাজা ও দাফন নিয়ে যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন জয়নাল হাজারী; সে ব্যাপার উদ্যোগী হয়েছেন নিজাম হাজারী। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা এবং মঙ্গলবার বিকেলে শহরে তার বাড়ির আঙিনায় মুজিব উদ্যানে সমাহিত করা হয়েছে জয়নাল হাজারীকে।

১৯৮৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জয়নাল হাজারী।

১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

২০০১ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জয়নাল হাজারীর বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। এরপর ভারতে পালিয়ে যান তিনি।

২০০৪ সালে হাজারীকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।

২০০৯ সালে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন হাজারী। একে একে সব মামলা থেকে অব্যাহতি পান তিনি।

২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর উপদেষ্টা পরিষদে সদস্য হন জয়নাল হাজারী।

এ বিভাগের আরো খবর