নেত্রকোনার কলমাকান্দায় গরু ব্যবসায়ী মজিবুর রহমানের মরদেহ উদ্ধারের মামলার রহস্যের জট খুলছে না।
গত ২২ ডিসেম্বর উপজেলার তেরতোপা গ্রামের ওই ঘটনায় নিয়ে তিন আসামিকে রিমান্ডে নেয়া হলেও কেউই এখন পর্যন্ত দায় স্বীকার করেননি বলে মঙ্গলবার জানিয়েছ পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলমাকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত তিন আসামি আমির হামজা ওরফে জনি মিয়া, রুবেল ও আনিসুর রহমানকে দুই দিন করে রিমান্ড নেয়া আদেশ দেয়।
‘আদালতের নির্দেশের পর ওইদিনই তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কেউ হত্যার দায় স্বীকার করেননি।’
আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার এই তিন আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান এসআই শহীদুল ইসলাম।
নিহতের স্বজনেরা জানান, কলমাকান্দার রংছাতি ইউনিয়নের তেরতোপা গ্রামের প্রয়াত আব্বাছ আলীর ছেলে আমির হামজা ওরফে জনি সীমান্ত পথ দিয়ে পণ্য আনা-নেয়াসহ গরুর ব্যবসা করেন। নিহত মজিবুরও গরু বেচা-কেনার ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। জনির সঙ্গে তার আর্থিক লেনদেন ছিল।
তাদের দাবি, সর্বশেষ মজিবুরের কাছে তিনলাখ টাকা পাওনা ছিল তার জনির। ওই টাকা দিতে পারছিলেন না মজিবুর। এ জন্য মজিবুরকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিলেন জনি।
গ্রেপ্তার দুই আসামির মধ্যে রুবেল পাঁচগাঁও এলাকায় মোটর মেকানিকের কাজ করেন। আনিসুর রহমান পাঁচগাঁও বাজারে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন।
এসআই শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, হত্যাকাণ্ডের সময় জনি ওই দুইজনের কাছ থেকে পেট্রোল এবং জিআই তার সংগ্রহ করেছে।’
এর আগে ২২ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মজিবুরের বাড়ির প্রায় দুইশ গজ দূরে একটি ধান ক্ষেতের খড়ের গাদায় হঠাৎ আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে মজিবুরের ভাই আতাউর রহমানসহ কয়েকজন এগিয়ে গিয়ে দেখেন, মজিবুরের ওপর খড়ের আগুন জ্বলছে। তার হাত-পা জিআই তার দিয়ে শক্ত করে বাঁধা ছিল। লোকজন তাৎক্ষণিক আগুন নেভালেও মজিবুরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।