জাতীয়তাবাদ, স্বাধিকার আন্দোলনসহ বাঙালির প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রকাশিত মুজিব স্মারকগ্রন্থ ‘বঙ্গবন্ধু ও বিচার বিভাগ’ ও ‘বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড দ্য জুডিশিয়ারি’ এবং মুজিববর্ষ স্মরণিকা ‘ন্যায় কণ্ঠ’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে এই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ ছয় দফা, বাঙালির স্বাধিকার, বাঙালির স্বাধীনতা যেটাই বলি না কেন, এই শব্দগুলোর অপর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ বিশ্বব্যাপী যেখানে মুক্তিসংগ্রাম, সেখানেই অনুপ্রেরণা বঙ্গবন্ধু।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘তাই বলা যায়, এ মহান নেতা আমাদের জাতীয় জীবনে এক জ্যোতির্ময় আলোকবর্তিকা। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একে অপরের সঙ্গে এমনভাবে জড়িত, যার একটিকে বাদ দিয়ে অপরটিকে কল্পনা করা যায় না।’
বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই ব্যক্তিত্বের জীবন কণ্টকাকীর্ণ ও দুঃসহ ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসন আমলে প্রযুক্তি ব্যবহার আইন ২০২০ ও ভার্চুয়াল কোর্টসহ বিচার কার্যক্রমের অগ্রগতির নানা বিষয়টি তুলে ধরেন মাহমুদ হোসেন।
তিনি জানান, ভার্চুয়াল কোর্ট শুরুর সময় আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৩৫৬টি। বর্তমানে বিচারাধীন আছে ১৫ হাজার ৫৫৬টি। হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ড কনফার্মেড-এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ১২৫টি আপিল ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে আপিল বিভাগ নিষ্পত্তি করেছে, যা থেকে ভার্চুয়াল কোর্টের সাফল্য সহজে অনুমেয়।
‘আমি বিশ্বাস করি ভার্চুয়াল ও ফিজিক্যাল কোর্টের মাধ্যমে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব’, বলেন প্রধান বিচারপতি।