আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারীর শেষ ইচ্ছা পূরণে উদ্যোগী হয়েছেন তারই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী।
আলোচিত জয়নাল হাজারী তার অনুজ নিজাম হাজারীর কারণে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও ফেনীর রাজনীতিতে তার অবস্থান ফিরে পাননি। এই দুই নেতার মধ্যে দূরত্বও ছিল স্পষ্ট। তবে মৃত্যুর পর তা যেন ঘুচে গেল। নিজাম হাজারীর কথাতেও ব্যাপারটা উঠে এসেছে।
জয়নাল হাজারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের লাইভে এসে একবার বলেছিলেন ‘আমার মৃত্যুর পর নামাজে জানাজাটা যেন ফেনী সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে হয়।’
ওই প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রয়াত নেতার আশা পুরোপুরিভাবে পূরণ করা হবে। আমি নিজে উপস্থিত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ নিয়ে ফেনী পাইলট হাইস্কুল মাঠে তার নামাজে জানাজা পড়ব।’
তিনি বলেন, ‘দলের এই প্রবীণ নেতা মারা যাওয়ায় আমি এবং দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাফেজ আহম্মদসহ সবাই শোকাহত। দলীয় নেতৃবৃন্দ তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছি।’
স্থানীয় একাধিক আওয়ামী লীগের নেতা জানান, আলোচিত জয়নাল হাজারী ফেনীতে এসে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েও ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছেন। সে রাজত্ব এখন নিজাম উদ্দিন হাজারীর।
তারা জানান, গত বছরের আগস্টে দুইবার জয়নাল হাজারী নিজ এলাকায় এসে ছিলেন অসহায়ের মতো। ঈদুল আজহা ও ১৫ আগস্টে কোনো লোকসমাগম করতে পারেননি তিনি। তার বাসায়ও থাকতে পারেননি। তার অনুসারীরা পদ-পদবি পাননি।
স্থানীয় নেতারা আরও জানান, তবে মৃত্যুর আগে তার জানাজা ও দাফন নিয়ে যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন জয়নাল হাজারী; সে ব্যাপার উদ্যোগী হয়েছেন নিজাম হাজারী। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা এবং মঙ্গলবার বিকেলে শহরের মাষ্টারপাড়ায় তার বাড়ির আঙিনায় মুজিব উদ্যানে সমাহিত করা হবে জয়নাল হাজারীকে।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাব এইড হাসপাতালে ৭৮ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।