শেরপুরের নকলায় রাস্তার পাশ থেকে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মুনসুর আলী, আশিক মিয়া ও আমির হোসেন।
সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের পর সিআইডি বলছে, নিহতের নাম মুনছুর আলী ফকির৷ তিনি জামালপুর ইসলামপুর থানার কাচিহারার হানিফউদ্দিনের ছেলে।
সিআইডি জানায়, ধার দেয়া টাকা চাওয়ায় পরিকল্পিতভাবে মুনছুরকে হত্যা করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর শেরপুরের নকলা উপজেলার ধনাকুশা নদীরপাড়ের কাচাঁরাস্তার উপর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে জানা যায়, নিহতের নাম মুনছুর আলী ফকির। তিনি বিভিন্ন যানবাহনে সহকারীর কাজ করতেন। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাবা হানিফ উদ্দিন অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে শেরপুরের নকলা থানায় মামলা করেন।
পরে ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, হত্যার ঘটনাটি কেন এবং কীভাবে সংগঠিত হয়েছে, ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, কারও সঙ্গে পারিবারিক বা ব্যবসায়িক কোনো বিরোধ ছিল কি না, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ভিকটিমের পরিবার, ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকার বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়।
পরে সেসব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা যায়, জামালপুরের ৪০ বছর বয়সী মুনসুর আলী, গাজীপুর শ্রীপুরের ২৫ বছরের আশিক মিয়া ও শেরপুর নকলার আমির হোসেন হত্যার সঙ্গে জড়িত।
এলআইসির একাধিক টিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিয়ান শুরু করে। সে ধারাবাহিকতায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মুক্তা ধর জানান, নিহত মুনছুর আলী ফকির গ্রেপ্তার মুনসুরকে ছয় মাস আগে টাকা ধার দিয়েছিল। সে টাকা পরিশোধ করছিল না মুনসুর। টাকা চাইলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।
ঘটনাটির পর মুনসুর আলী অন্যদের সহযোগিতায় পরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগীকে ডেকে নিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে জানায় সিআইডি।