কক্সবাজারে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ইসরাফিল হুদা জয়কে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
চকরিয়া বাস স্টেশন এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলছে, মামলার প্রধান আসামি আশিকের সহযোগী ইসরাফিল হুদা জয়। তার বাড়ি কক্সবাজার শহরে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মুসলিম।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত আশিকসহ এজাহারভুক্ত তিনজন এবং ওই নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত ডিআইজি জানান, গ্রেপ্তার হোটেল গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন চারদিন এবং অন্য তিন আসামি দুদিন করে রিমান্ডে আছেন।
দুদিন করে রিমান্ডে থাকা আসামিরা হলেন কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার রেজাউল করিম শাহাবুদ্দিন, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার উলুবনিয়া এলাকার মামুনুর রশীদ ও কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার মেহেদী হাসান।
আসামি ইসরাফিল হুদা জয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ: ছবি: নিউজবাংলাএ মামলায় এই পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার মাদারীপুর থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিককে। এর আগে র্যাবের হাতে কক্সবাজারে গ্রেপ্তার হন রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।
ওই নারীর ভাষ্য অনুযায়ী স্বামী-সন্তান নিয়ে বুধবার সকালে তারা কক্সবাজার পৌঁছান। এরপর শহরের হলিডে মোড়ের সি ল্যান্ড হোটেলের ২০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। বিকেলে সৈকতে গেলে সাড়ে ৫টার দিকে তার স্বামীর সঙ্গে এক যুবকের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
এর জের ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার কিছু পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। আর তাকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় জোর করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
ওই নারীর অভিযোগ, তাকে শহরের একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে প্রথমে তিনজন ধর্ষণ করেন। তারপর নেয়া হয় হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে। সেখানে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন একজন।
‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ ও তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলায় নাম উল্লেখ করা চার আসামি হলেন কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ শফি ওরফে ইসরাফিল হুদা জয় ওরফে জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।
পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত আশিকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন, ছিনতাই, ইয়াবা ব্যবসাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৬টি মামলা আছে। তার অন্যতম সহযোগী জয়ার বিরুদ্ধেও দুটি মামলা আছে। তারা মূলত কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনের ত্রাস হিসেবে পরিচিত। তাদের গ্যাংয়ে অর্ধশতাধিক সদস্য রয়েছেন। তারা গ্রেপ্তারও হয়েছেন একাধিকবার।