লালমনিরহাটে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মিশনমোড়ে ছাত্রদলের মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নেতা-কর্মীদের জমায়েত ঠেকাতে রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। এতে ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা শহরে প্রবেশ করতে পারছেন না।
যারা ঢোকার চেষ্টা করছেন তাদের পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জেলা কালেক্টরেট মাঠে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের অনুমতি দেয়নি। এ অবস্থায় শহরের মূল রাস্তায় স্টেজ করে আমাদের সমাবেশ করতে হচ্ছে।’
মিছিল নিয়ে শহরে ঢোকার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরানেতা-কর্মীদের সমাবেশস্থলে আসতে বাধা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সমাবেশে লালমনিরহাট ছাড়াও কুড়িগ্রাম, রংপুর থেকে নেতা-কর্মীরা যোগ দিতে এসেছেন। কিন্তু পথে পথে তল্লাশির নামে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। গুলি করে ছড়ানো হচ্ছে আতঙ্ক।’
জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক আরিফ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য যখন বার বার আবেদন করা হচ্ছে, তখন সরকার নানা অজুহাতে তা নাকচ করছে। দাবি আদায়ে আমরা রাজপথে নামলে দেয়া হচ্ছে বাধা। কিন্তু এভাবে যৌক্তিক দাবিকে ধামাচাপা দেয়া যাবে না।’
জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক একেএম মোমিনুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সমাবেশকে পণ্ড করার জন্য তারা বিভিন্ন ফন্দি আটলেও তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের আটকাতে পারছেন না।’
বিএনপি নেতা-কর্মীদের অভিযোগের বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ‘আমরা কথা বলতে পারব না। কিছু জানতে হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’