দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। ষাটোর্ধ্ব স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইনারদের এই টিকা দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যালসহ বেশ কিছু হাসপাতালে স্বাভাবিক টিকাদান কর্মসূচির পাশাপাশি বুস্টার ডোজের টিকা দেয়া হয়।
যারা টিকা নিতে আসছেন তাদের সোমবার রাতেই এসএমএস পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহামেদুল কবীর নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকায় যে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে, পর্যায়ক্রমে তা সারা দেশে দেয়া হবে, সঙ্গে এর পরিধি বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ষাটোর্ধ্ব, প্রবাসীকর্মী ও সম্মুখসারির যোদ্ধারা এ টিকা পাবেন। যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার কমপক্ষে ৬ মাস অতিবাহিত হয়েছে, তারা বুস্টার ডোজের জন্য এসএমএস পাবেন। এ জন্য নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে না। আগের নিবন্ধন অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর টিকা প্রত্যাশীদের সিরিয়াল অনুযায়ী এসএমএস পাঠাবে।’
কত জনকে কীভাবে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে জানতে চাইলে আহমেদুল কবীর বলেন, ‘৫:১ এই পদ্ধতিতে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। অর্থাৎ টিকা কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাঁচজনকে দেয়া হবে প্রথম অথবা দ্বিতীয় ডোজ, আর বুস্টার ডোজ দেয়া হবে একজনকে।’
এই বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও এমএনসিএন্ডএএইচ লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক সই করা একটি প্রজ্ঞাপন টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া টিকা নিবন্ধনের সুরক্ষা অ্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে।
সেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের পর যুক্ত হয়েছে তৃতীয় ডোজের নতুন অপশন।
গত ১৯ ডিসেম্বর দেশে পরীক্ষামূলকভাবে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়। সেদিন ছয় মন্ত্রীসহ ৬০ জনের বেশি মানুষকে পরীক্ষামূলক এই ডোজ প্রয়োগ করা হয়।
সেখানে প্রথমে বুস্টার ডোজ নেন দেশে প্রথম করোনার টিকা গ্রহণকারী কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা ডি কস্তা।