পৌষ মাসের ১৩ দিন শেষ। সাধারণত পৌষে অন্য বছরগুলোতে যে পরিমাণ শীত পড়ে, এবার তা দেখা যায়নি। বরং আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী দুই দিন শীত আরেকটু কমবে। এ সময় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে, হতে পারে বৃষ্টি।
তবে এমন পূর্বাভাসের সঙ্গে নতুন বছরে শৈত্যপ্রবাহের ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বলছে, বছরের শুরুতেই উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশেই জেঁকে বসবে শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বর্তমানে ঢাকায় স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আগামীকাল দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ ছাড়া ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকায় এই সময়ে স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি রয়েছে। এর কারণ বাংলাদেশের ওপর একটি বড় লঘুচাপ বিরাজ করছে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মেঘ রয়েছে। এই অঞ্চলে মেঘ আরও ঘনীভূত হয়ে আগামীকাল বৃষ্টির ঝরাতে পারে।’
শৈত্যপ্রবাহের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বছরে বাকি দিনগুলোতে আর শৈত্যপ্রবাহ আসছে না। শৈত্যপ্রবাহ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আসতে পারে। আগামী দু-এক দিনে তাপমাত্রা বাড়তে পারে, তারপর ধীরে ধীরে কমতে থাকবে তাপমাত্রা।’
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ, পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, এ সময় আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে, তবে রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারা দেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এ ছাড়া দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা দু-এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে দেশের অন্য জায়গায় তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।